ক্রমশ চাপে পড়ে যাচ্ছে ভারত। ইউক্রেন-রাশিয়া লড়াইয়ের প্রভাব ভারতের উপরে পড়ছে। পাশাপাশি ইজরায়েল প্যালেস্টাইন লড়াইয়ের প্রভাবও পরোক্ষভাবে পড়েছে। এবার ভারত বন্ধু ইরান হামলা চালাল ইজরায়েলের উপরে। দামাস্কাসে তাদের দূতাবাসে ইজরায়েলি হামলার পাল্টা হিসেবে ইজরায়েলে ড্রান ও মিসাইল হামলা শুরু করেছে ইরান সরকার। কিন্তু সেইসব হামলায় কোনও কিছুই ক্ষতি হচ্ছে না বলে দাবি ইজরায়েলের। কারণ ইজারায়েলের আয়রন ডোম ও অন্যান্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে কীভাবে ইজরায়েল তার অ্যারো এরিয়াল ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে আকাশে বদ করছে ইরানি মিসাইল, হামলাকারী ড্রেনগুলিকে। সংবাদমাধ্য়মের খবর অনুযায়ী শনিবার রাতে ক্রুজ মিসাইল, ব্যালেস্টিক মিসাইল ও ড্রোন মিলিয়ে মোট ৩০০ হামলা চালিয়েছে। সেইসব হামলায় আকাশেই নষ্ট করে দিয়েছে ইজরায়েল ও তার বন্ধু আমেরিকা। গোটা দেশেই বেজে চলেছে এয়ার রেড সাইরেন। ফলে মানুষডজন সতর্ক হয়ে যাচ্ছেন সহজেই। এর জেরে ক্ষয়ক্ষতি একেবারেই প্রায় নেই ইজরায়েলের। তবে শোনা যাচ্ছে দক্ষিণ ইজরায়েলের একটি হাসপাতালে আহত ১২ জনের চিকিত্সা চলছে। তবে ইরান জানিয়ে দিয়েছে , আরও বড় ধরনের হামলা চালানো হবে ইজরায়েলে।
ইজরায়েলের এরোস্পেস ইন্ড্রাস্ট্রিজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসাইল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির সঙ্গে মিলে তৈরি করেছে অ্যারো ডিফেন্স সিস্টেম। ইজরায়েলের একাধিক স্তরের আকাশ নিরাপত্তায় এটি থাকে একেবারে সবচেয়ে উপরের স্তরে। নব্বইয়ের দশকে এটি তৈরি করা হলেও এটিকে পুরোদমে কাজে লাগানো হয় ২০০০ সালে। অ্যারো ডিফেন্স সিস্টেম-২ স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার মিসাইলগুলিকে ধব্ংস করে।
ইজরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের একেবারে উপরে রয়েছে অ্যারো ডিফেন্স সিস্টেম ৩। এর পরেই রয়েছে অ্যারো ডিফেন্স সিস্টেম ২। এর পরেই রয়েছে ডেভিডস স্লিং। এটির কাজ হল মধ্য ও দুূরপাল্লার সিসাইল ধ্বংস করা। আর একেবারের নীচের স্তরে রয়েছে আয়রন ডোম ডিফেন্স সিস্টেম। অ্যারো ডিফেন্স সিস্টেম শত্রু মিসাইল ও ড্রোনগুলিকে চিহ্নিত করে খতম করে। এতটি ব্যর্থ হলে রয়েছে পরের আরও দুটি ডিফেন্স সিস্টেম। ফলে আপাতত কোনও ভাবেই ইজরায়েলের উপরে দাঁত বসাতে পারছে না ইরান।