মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার তাঁকে বিজেপির মাউথপিস বলে কটাক্ষ করেছিলেন৷ শুক্রবার সেই কটাক্ষের জবাব দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ তিনি বললেন, ক্রিকেটের সব বল খেলতে নেই৷
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে রাজ্যপাল বলেন, ‘সব কথার উত্তর দিতে নেই। এগুলি উপেক্ষা করার মতো বিষয়।’ উদাহরণ হিসাবে তিনি ক্রিকেটের নো-বলের প্রসঙ্গে তুলে ধরেন।
মহারাষ্ট্রে রাজ্যপালের সুপারিশে জারি হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসন। শিবসেনা-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সুযোগ দেওয়া হয়নি। বিজেপি নেতার মতো আচরণ করছেন রাজ্যপাল। সেই প্রসঙ্গেই জগদীপ ধনখড়ের নাম না করে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”বিজেপির মুখপত্র হিসেবে কাজ করছে। একটা সমান্তরাল শাসন চালাচ্ছে। আমার রাজ্যেও এটা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে চলা উচিত। মনে রাখা দরকার, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার নির্বাচিত।” সরাসরি সেই নিয়ে মুখ না খুললেও, এদিন ধনকড় বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রত্যেক পক্ষকেই নিজের কাজ করে যাওয়া উচিত। নিজের মতকে শ্রেষ্ঠ বলে প্রতিপন্ন করে অন্যের মতকে প্রকাশ করতে না দেওয়া ঠিক নয়। আজ পর্যন্ত রাজ্য সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বলেনি রাজ্যপাল তার অধিকারের সীমা লংঘন করেছেন। যদি এমনকিছু হয় তবে অবশ্যই আমি তা বিবেচনা করব।’
শুক্রবার সড়কপথে মালদহে যাওয়ার সময় পথে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে হাজার কিলোমিটার পথ সড়ক পথে যেতে দ্বিধা করব না। মুখ্যমন্ত্রী কিছু বললে আমি ২৪ ঘন্টার মধ্যে উত্তর দিয়ে থাকি। কিন্তু, আমার ক্ষেত্রে তা হয় না। মুখ্যমন্ত্রী কিছু বললে আমার কিছু এসে যায় না।’
রাজ্যপালের সিঙ্গুর যাওয়া নিয়ে সরব তৃণমূল। মন্ত্রী থেকে তৃণমূল নেতা, মুখ খুলেছেন ধনকড়ের বিপক্ষে। জবাবে রাজ্যপাল বলেন, ‘সমস্যাটা হচ্ছে কোনও কিছু গোপনে করতে গেলে মানুষের কৌতুহল সে ব্যাপারে আরও বেড়ে যায়। হঠাৎ, কোথাউ গেলে সেখানকার প্রকৃত অবস্থা জানা যায়। যেমন হাসপাতাল।’ এই সফরেও কী তাঁর আচমকা কোথাউ যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে? রাজ্যপাল বলেন, ‘হঠাৎ কোথাও যাওয়ার বিষয় আগে থেকে বলা উচিত নয়।’