এখনও পর্যন্ত ২৩টি ম্যাচ হয়েছে আইপিএলের। শনিবার পর্যন্ত সব থেকে কম ম্যাচ খেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেকেআর খেলেছে চারটি ম্যাচ। সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলেছে পাঁচটি দল। রাজস্থান রয়্যালস, গুজরাত টাইটান্স, পঞ্জাব কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু খেলেছে ছ’টি করে ম্যাচ। রবিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি কলকাতা। তার আগে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় চোখ রাখা যাক।
পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে আছে রাজস্থান। সঞ্জু স্যামসনের দল ছ’টি ম্যাচ খেলে জিতেছে পাঁচটি ম্যাচ। তাদের পয়েন্ট ১০। সব থেকে কম ম্যাচ খেলেও তালিকায় দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে কলকাতা। শ্রেয়স আয়ারেরা চারটি ম্যাচ খেলে জিতেছেন তিনটি। কেকেআরের পয়েন্ট ৬। একই পয়েন্ট পেয়েছে আরও চারটি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি। তবে নেট রান রেটের ভিত্তিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। কেকেআরের নেট রান রেট ১.৫২৮।
পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে চেন্নাই সুপার কিংস। পাঁচটি ম্যাচ খেলে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের দল জিতেছে তিনটি। পয়েন্ট ছয়। নেট রান রেট ০.৬৬৬। পাঁচটি ম্যাচের তিনটি জিতে ছয় পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে লখনউ সুপার জায়ান্টস। লোকেশ রাহুলের দলের নেট রান রেট ০.৪৩৬। পঞ্চম স্থানে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্যাট কামিন্সেরাও পাঁচটি ম্যাচের তিনটি জিতে ছয় পয়েন্ট পেয়েছেন। তাঁদের নেট রান রেট ০.৩৪৪। ষষ্ঠ স্থানে থাকা গুজরাত টাইটান্সও পাঁচটি ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় পেয়েছে। তাদেরও পয়েন্ট ছয়। শুভমন গিলের দলের নেট রান রেট -০.৬৩৭।
সপ্তম স্থানে রয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। হার্দিক পাণ্ড্যরা পাঁচটি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছেন দু’টিতে। পয়েন্ট চার। তাঁদের নেট রান রেট -০.০৭৩। পঞ্জাব কিংস ছ’টি ম্যাচের মধ্যে জয় পেয়েছে দু’টিতে। পয়েন্ট চার। শিখর ধাওয়ানের দলের নেট রান রেট -০.২১৮। দিল্লি ক্যাপিটালসও ছ’টি ম্যাচ খেলে দু’টিতে জয় পেয়েছে। তাদেরও পয়েন্ট চার। তবে নেট রান রেটে পিছিয়ে রয়েছেন ঋষভ পন্থেরা। তাঁদের নেট রান রেট -০.৯৭৫। সব শেষে ১০ নম্বরে রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এখনও পর্যন্ত ছ’টি ম্যাচ খেলে একটিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন ফ্যাফ ডুপ্লেসিরা। তাঁদের সংগ্রহ দু’পয়েন্ট। নেট রান রেট -১.১২৪।
আইপিএলের লিগ পর্বে মোট ৭০টি ম্যাচ হবে। প্রতিটি দলকে খেলতে হবে ১৪টি করে ম্যাচ। তাই পয়েন্ট তালিকার এই ছবি অনেক পরিবর্তন হবে। উপরে থাকা দল নীচে নেমে যেতে পারে। আবার নীচের দিকে থাকা দল উপরে উঠে আসতে পারে। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার। আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলির মধ্যে লড়াই জমে উঠেছে।