‘Stand for Green Kolkata’, heatstroke, কলকাতাকে উষ্ণতা থেকে বাঁচানোর অঙ্গীকার ‘স্ট্যান্ড ফর গ্রিন কলকাতা’র

 শয়ে শয়ে গাছ লাগিয়ে কলকাতাকে ঝলসে যাবার হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টার অঙ্গীকার করেছে ‘স্ট্যান্ড ফর গ্রিন কলকাতা’ নামে একটি সংগঠন। শহরকে বাঁচাতে তারা সবুজ বন্ধু নানা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রকল্পে পাশে থাকতে আবেদন করেছেন পরিবেশবাদী সমস্ত সচেতন মানুষকে।

‘স্ট্যান্ড ফর গ্রিন কলকাতা’র তরফে সমীর বসু জানিয়েছেন, “আমাদের সংগঠনের সদস্যরা নানা বাধা অতিক্রম করে শহর সবুজ করতে সচেষ্ট। অনেক আরোপিত সরকারি বিধি নিষেধের কারণে এবং কিছু অসচেতন মানুষের অসহযোগিতার কারণে সেভাবে কাজ এগোয়নি এতদিন। আমরা জেনেগেছি, ঠান্ডা মেশিন দিয়ে গরমের মোকাবিলা সম্ভব হবে না। ফাঁকা সরকারি জমিতে যদি গাছ লাগানোর অনুমতি পাওয়া যেত তবে কাজ হত। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, রবীন্দ্র সরোবরের ভেতরে দক্ষিণ দিকের সাদার্ণ এভিনিউ বরাবর যে ফাঁকা জমিগুলি রয়েছে ওখানে যদি বেশ কয়েক সারি গাছ লাগানো যায়, তাতে সরোবরকে একটি আরও ব্যাপৃত সবুজ প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলা সম্ভব। ফলস্বরূপ বর্তমানে এই অতিসংবেদনশীল বাস্তুতন্ত্রের যে ক্ষয় ও দূষণ বৃদ্ধি হচ্ছে তা আটকানো যেত।”

প্রযুক্তি-পরিবেশবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ বলেন, “বিশ্ব উষ্ণায়ণ এখন এক জ্বলন্ত সমস্যা। এমন একটি বিষয়ের সমাধানের জন্য সারা পৃথিবীর নিতান্ত সাধারণ মানুষজন থেকে পরিবেশ প্রেমী মানুষ তথা তাবড় বিজ্ঞানী মহলের পরামর্শ হাতিয়ার করে দেশনেতা-নেত্রীরা যখন একযোগে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সংকল্পবদ্ধ হচ্ছেন আমাদের চারপাশে তেমন হেলদোল চোখে পড়ছে না। বিশ্বের উষ্ণাঞ্চল বাদ দিলেও আমাদের মত নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলগুলি এই উষ্ণায়ন ও জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে চলেছে।”

এর প্রতিকারের উপায়গুলি বিভিন্ন স্তরে ভাগ করতে গেলে আমজনতার হাতে যে সহজ উপায়টি রয়েছে তা হ’ল কৃত্রিম বন তৈরি করা। এরকম বহু স্থান এমনকি ন্যাড়া পাহাড়ও সবুজ হয়েছে স্থানীয় মানুষের ব্যবস্থাপনায়।কলকাতা এখন মরুভূমির মত প্রায় বৃক্ষ বা জলশূন্য হবার মুখে। জলস্তর নেমে যাচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অন্যায়ভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধির অছিলায় অনেক ক্ষেত্রেই গাছের শাখা কেটে ফেলা হচ্ছে। গাছগুলি অনেকাংশেই মৃতপ্রায়। সামান্য সরকারি সাহায্য ও অনুমতি পেয়ে বেশ কিছু সংস্থা কলকাতায় বিভিন্ন স্থানে শহর সবুজায়ন করে সুফল পেয়েছে।

এ কথা জানিয়ে সমীর বসু বলেন, “জাতীয় পরিবেশ আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা ছিল যে, এই সরোবর অঞ্চলের মধ্যে কোনো সামাজিক ক্রিয়াকলাপ বন্ধ থাকবে। কিন্তু যা দেখছি এই সরোবরের মধ্যে অনিয়ন্ত্রিতভাবে একের পর এক ক্লাব গড়ে উঠছে। সেগুলি শেষ পর্যন্ত জাতীয় সরোবরটির চারপাশে একটি সুদৃঢ় ও বর্দ্ধিত সবুজ বলয় গঠনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পরিবেশবন্ধু সমস্ত সচেতন মানুষ ও নির্দিষ্ট সংস্থার কাছে আবেদন, সবুজ বন্ধু প্রতিষ্ঠানগুলির বিভিন্ন প্রকল্পে পাশে থাকুন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.