সরকার কোনও তাড়াহুড়ো করতে চায় না সংকটে চলা টেলিকম সংস্থার কাছ থেকে টাকা আদায়ের ব্যাপারে কারণ যেখানে এই সংস্থাগুলি এখন ত্রাণ চাইছে ৷ শুক্রবার সে কথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷ তিনি সাফ জানিয়েছেন, সরকার চায় না কোনও টেলিকম সংস্থা বন্ধ হোক ৷
পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জানিয়েছেন, একাধিক রাজ্যে থাকা সমবায় ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও ব্যাংক ডিপোজেটের ক্ষেত্রে তা ফেরতের জন্য যে এক লক্ষ টাকার বিমা করা থাকত সেটা বাড়ানোর জন্য বিলের কাজ এই সরকার করেছিল ৷ সেই বিল আগামী শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে পেশ করা হবে ৷ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সেই অধিবেশন৷ পাশাপাশি আর্থিক শ্লততা প্রভাবে সরকারের জনকল্যাণ ব্যয় কমে যাবে বলে যে আশংকা করা হচ্ছে তা এদিন সীতারমন উড়িয়ে দিয়েছেন৷
অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার অবহিত টেলিকম সংস্থাগুলি তাদের পাওনা মেটাতে ত্রাণের জন্য আবেদন করেছে সেটা জরুরি ভিত্তিতে দেখা হবে৷ একদল সচিব এই বিষয়টা দেখছে এবং তারা ব্যবস্থা নেবে৷ সীতারমন জানান, সরকারের উদ্দেশ্য হল কোনও সংস্থার সঙ্কটজনক অবস্থায় থাকা সংস্থার বিষয়টিকে খতিয়ে দেখা ৷ ফলে তিনি জানিয়েছেন, কোনও ভাবেই চান না এই সংস্থাগুলি তাদের কাজ বন্ধ করুক৷ বরং চান এগুলি ঘুরে দাঁড়াক এবং চলুক৷ যেমন চান দেশের অর্থনীতি সম্বৃদ্ধ হোক৷ তিনি চান, সব ক্ষেত্রে সব সংস্থাই যেন ব্যবসা করতে পারে গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে পারে এবং সম্বৃদ্ধ হতে পারে৷
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ফিনান্সিয়াল রেজোলিউশন অ্যান্ড ডিপোজিট ইন্সিওরেন্স (এফআরডিআই) বিল যা ব্যাংক ডিপোজিটের ক্ষেত্রে বিমার পরিমাণ এক লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে দেওয়াযায় তবে এই বিষয়ে কত টাকার বিমা হবে তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে ৷ সরকার পাশাপাশি সংশোধন করে নেবে আমানতকারীদের আগে যে উদ্বেগ ছিল আর্থিক সংস্থা ব্যর্থতার ক্ষেত্রে ‘বেল’এর ব্যাপারে৷ সংশোধন আনা হতে পারে প্রস্তাবিত ব্যাংকিং রেগুলেশন আইনের ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক হিসেবে ক্ষমতা বাড়ানোর ৷ বিশেষত পাঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ব্যাপারে যেভাবে গ্রাহকেরা আক্রান্ত তার প্রেক্ষিতে ৷
সীতারমন জানিয়েছেন, নন ব্যাংক ঋণদাতাদের নগদের পরিমাণ খতিয়ে দেখবেন পরের সপ্তাহে৷ তবে সেপ্টেম্বরে কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোয় বেশ কিছু সংস্থা পরিকল্পনা করেছে বড় লগ্নির৷