বেআইনি চোলাই মদের কারখানার চেম্বারের মধ্যে পড়ে গিয়ে হালিশহর দাড়িওয়ালা আদিবাসী পাড়ায় মৃত্যু হলো বছর ৩৫- এর মুকুট সোরেন নামে এক ব্যক্তির। এই ঘটনায় আহত হয় আর দুই জন। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হালিশহর জেটিয়া থানার পলাশী মাঝিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দাঁড়িওয়ালা আদিবাসী পাড়ায়। মৃতের বাড়ি শিবদাসপুর থানার আঁটিসাড়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, চোলাই তৈরির আট ফুট গভীর চেম্বারের ভেতর মদ তৈরির উপকরণ রাখা থাকে। রবিবার রাতে ওই চেম্বারের মধ্যে মই লাগিয়ে উপকরণ বের করছিল মুকুট ও তার আরো দুই সহযোগী। কিন্তু ওই চেম্বারের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া বিষাক্ত গ্যাসের কবলে পড়ে মৃত্যু হয় মুকুট সোরেনের। বাকি দু’জনকে উদ্ধার করে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়,সেখানেই তারা চিকিৎসাধীন। যদিও ক্যামেরার সামনে তারা মুখ খুলতে নারাজ। ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা চোলাই মদের কারখানা উচ্ছেদের দাবিতে সরব হয়েছে।
এদিন মৃতের পরিবারের লোকেদের দাবি, মুকুট সরেন সকালে বোনের বাড়ি যাবে বলে বের হয়, তারপর গভীর রাতে তার মৃত্যুর কথা জানতে পারেন তার পরিবারের লোকজন। তবে এই ঘটনার পর অসহায় অবস্থায় পড়েছে মৃতের পরিবার। এই ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং।সেখানে গিয়ে তিনি এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তার কাছে স্থানীয়রা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বেআইনি চোলাই- এর ঠেক ভেঙ্গে দেওয়ার আবেদন করেন।
এদিন ব্যারাকপুরের বিদায়ী সাংসদ অর্জুন সিং অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশের মদতে এই বেআইনি চোলাই মদ তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। পুলিশ ডিএ পায় না, কিন্তু এই বেআইনি কাজে মদত দিয়ে টাকা রোজগার করে। আর এই সব কিছুর মাথা হলো পার্থ ভৌমিক।