স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙচুর ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। উন্মোচনের আগেই ভেঙে দেওয়া হয় মূর্তি। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানালেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা।
সেই ছবি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “উৎকৃষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে নিকৃষ্ট নিদর্শন” লজ্জা !!! ধিক্কার !!!
তিন মনে করেন স্বামী বিবেকানন্দকে অপমান করা মানে গোটা জাতিকে অপমান করা। তিনি জানিয়েছেন, স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙচুর ছাড়াও মূর্তির চতুর্দিকে লেখা ‘গেরুয়া’, ‘বিজেপি জ্বলবে’, ‘ফ্যাসিজম নিপাত যাক’-এর মতো শব্দ।
সম্প্রতি, ক্যাম্পাসের ভিতরে বিবেকানন্দের মূর্তি বসানো হয়৷ সেটি গেরুয়া কাপড়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল৷ কিন্তু স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিটি উন্মোচন হওয়ার আগেই তা ভেঙে দেওয়া হল। তবে কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে,তা এখনও জানা যায়নি৷
জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষের কথায়, ‘বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙাকে সমর্থন করি না। আমরা আলাপ-আলোচনার মধ্যে সমস্যার সমাধানে বিশ্বাসী। এটা জেএনইউ ছাত্ররা করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কোনও ধরনের গুণ্ডামিকে সমর্থন করে না। তবে আন্দোলনকে বিপথগামী করতে নানা ধরনের অপপ্রচার চলছে।”
উল্লেখ্য,কয়েক বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি স্থাপনের। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সেই প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছিল বাম ছাত্র সংসদ। এবং সেই আপত্তির ফলে, সেই সময় স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিল কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছিল, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্লকের সামনে একটি স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। স্থির হয়েছিল যে জহরলাল নেহেরুর মূর্তি যেখানে রয়েছে ঠিক তার উলটো দিকেই হবে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি। নতুন এই মূর্তি ছাপিয়ে যাবে জহরলাল নেহরুর মূর্তিকে।