দেশজুড়ে ভোট প্রচারে ঘাম ঝড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার রাজস্থানের এক জনসভায় গিয়ে কংগ্রেসকে এক হাত নেন মোদী। রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীর দলের ইস্তেহার মিথ্যায় ভরা বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী। লোকসভা ভোটে ২০২৪- এর বিজেপির অবিকল্প মুখ মোদী বলেন, কংগ্রেসের ইস্তেহারের পাতায় পাতায় ভারত ভাঙার মন্ত্রণা দেওয়া হয়েছে।
মোদী বলেন, স্বাধীনতার সময় মুসলিম লিগ যে চিন্তাভাবনা করত, কংগ্রেসের ইস্তেহারে সেই ধরনের চিন্তাভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে। কংগ্রেসের ঘোষণা পত্রে সম্পূর্ণভাবে মুসলিম লিগের ছাপ রয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুসলিম লিগ মার্কা ইস্তেহারের সবকিছুই ইতিমধ্যে দখল করেছে বামপন্থীরা। আজ কংগ্রেসের কাছে আদর্শ বা নীতি কোনো কিছুই নেই। মনে হচ্ছে কংগ্রেস যেন সবকিছুই চুক্তি করে দিয়ে দিয়েছে। পুরো দলটিকে আউটসোর্স করতে হচ্ছে।
এরপর দুর্নীতির প্রশ্নে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানান মোদী। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, কংগ্রেস যেখানে, সেখানে উন্নয়ন থাকতে পারে না। গরিব, প্রান্তিক মানুষ, এবং যুবদের কথা ভাবে না কংগ্রেস। জনগণের টাকা লুট করাকে এরা পৈত্রিক অধিকার মনে করত। গত ১০ বছরে মোদী এই রোগের স্থায়ী নিরাময় করেছে।
কংগ্রেসের ইশতেহারের মূলত পাঁচটি ন্যায়ে জোর দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের জন্য ন্যায়, তরুণদের জন্য ন্যায়, কৃষকদের জন্য ন্যায়, শ্রমিকদের জন্য ন্যায়, সামাজিক ন্যায়। এই পাঁচটি ন্যায়ের অধীনে মোট ২৫টি গ্যারান্টির কথা বলেছে হাত শিবির। যদিও সেখানে সিএএ, কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা, ওল্ড পেনশন স্কিম- এর মত জ্বলন্ত ইস্যুগুলো কংগ্রেসের ইস্তেহারে নেই। কেন নেই? তার উত্তরে দলের তরফে জানানো হয়েছে, বিতর্কিত বিষয় রাখা হয়নি। তাতে মূল প্রতিশ্রুতিগুলি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া বিচারাধীন বিষয়গুলিকে ইস্তাহারে রাখা হয়নি ভেবেচিন্তেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে মানুষ কি আদৌ কথা শুনবে?