Swami Smaranananda Maharaj: স্বামী স্মরণানন্দের স্মরণে ভাণ্ডারা বেলুড়ে, ভজনে-কীর্তনে-শ্রদ্ধায় আবেগঘন মঠের বাতাস…

আজ, রবিবার বেলুড় মঠে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ প্রয়াত স্বামী স্মরণানন্দের মহাসমাধি উপলক্ষে বিশেষ পূজা, ভজন ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রথামতো ভোরবেলায় ঠাকুরের মন্দিরে মঙ্গলারতি দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু। এরপর হয়েছে বিশেষ পূজা এবং হোম।

আজ প্রয়াত স্বামী স্মরণানন্দের স্মরণে বেলুড় মঠ প্রাঙ্গণে অস্থায়ী ভাবে নির্মিত সভামণ্ডপে সারাদিন ধরে চলবে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। সকালে হয়েছে বৈদিক মন্ত্রপাঠ। এরপর সারাদিন ধরে চলবে ভক্তিগীতি, শ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত পাঠ ও ব্যাখ্যা, পদাবলী কীর্তন ও বাউলগান ইত্যাদি। এরই মাঝে আগত ভক্ত এবং দর্শকদের জন্য হাতে হাতে ভোগ বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই উপলক্ষে দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ সকাল থেকেই জমায়েত হয়েছেন বেলুড় মঠে। নিয়মমতো তেরো দিনে হয় এই অনুষ্ঠান, যাকে ভান্ডারা বলা হয়। আজ, সারাদিন ধরে চলবে অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় মূল মন্দিরে  সন্ধ্যারতি দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে। এই উপলক্ষে আজ সারাদিন মঠ খোলা থাকবে।

বিকেল সাড়ে তিনটেয় হবে স্মরণসভা। প্রয়াত মহারাজের স্মৃতিচারণা করবেন অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত মঠাধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ। থাকবেন স্বামী সুহিতানন্দ, স্বামী ভজনানন্দ, স্বামী সুবীরানন্দ-সহ অন্যান্যরা।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৪ মিনিট নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে বেলুড় মঠের ষোড়শ অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯২৯ সালে তামিলনাড়ুর তাঞ্জাভুর জেলার আন্দামি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন স্বামী স্মরণানন্দ। ১৯৪৬ সালে স্কুলের পাঠ শেষ করে নাসিকে বাণিজ্য বিষয়ে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৯ সালে শ্রীরামকৃষ্ণ ও স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মুম্বই রামকৃষ্ণ মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ১৯৫২ সালে স্বামী শঙ্করানন্দের কাছে মন্ত্রদীক্ষা নেন। ১৯৫৬ সালে ব্রহ্মচর্য। ১৯৫৮ সালে ‘অদ্বৈত আশ্রমে’র কলকাতা শাখায় আসেন। স্বামী বিবেকানন্দ -প্রবর্তিত ইংরেজি পত্রিকা ‘প্রবুদ্ধ ভারতে’র কাজের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। ‘রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠে’র সম্পাদক ছিলেন প্রায় ১৫ বছর। ১৯৮৩ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের গভর্নিং বডির সদস্য হন। ২০২২ সালের মার্চ মাসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রামকৃষ্ণ মঠের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ। সে সময়ে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। বেশ কয়েক দিন পরে তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। যদিও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.