কোচবিহারে আগামী ৪ এপ্রিল সভা করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই দিনে একই জেলায় সভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ফলে, ৪ এপ্রিল কোচবিহারে সামনাসামনি টক্কর মোদী-মমতার। দুই শিবিরের দুই প্রধানের সভা ঘিরে সাজসাজ রব রাজার শহরে। জানা গিয়েছে, মোদীর সভা হবে শহরের রাসমেলা ময়দানে। মমতা সভা করবেন মাথাভাঙার গুমানির হাটে।
৪ এপ্রিল থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে লোকসভার চূড়ান্ত লড়াই। সে দিন একই জেলার পৃথক দু’টি জায়গায় সভা করতে চলেছেন মোদী এবং মমতা। মোদী জনতার কাছে আবেদন করবেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে জেতানোর, অন্য দিকে, মমতার আবেদন থাকবে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বাসুনিয়াকে জেতানোর। জনগণেশ কোন দিকে থাকবেন, তা নথিভুক্ত হবে আগামী ১৯ এপ্রিল। আর ফল জানা যাবে, ৪ জুন।
প্রধানমন্ত্রীর সভা ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। রবিবার সকালে রাসমেলার মাঠ পরিদর্শন করেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায়, বিজেপির রাজ্য পরিদর্শক মঙ্গল পাণ্ডে, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে। প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে সুকুমার বলেন, ‘‘আমাদের কাছে খবর এসেছে যে, ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী কোচবিহারে আসছেন। সভার মাঠের অনুমতির জন্য আমরা ইতিমধ্যেই প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছি এবং জেলাশাসকের সঙ্গে এ বিষয়ে দেখা করব। তাই রবিবার সকলে মিলে রাসমেলার মাঠ পরিদর্শন করতে এসেছি।’’
অন্য দিকে, সভার প্রস্তুতি চূড়ান্ত লগ্নে তৃণমূল শিবিরেরও। ২ এপ্রিল কোচবিহারে আসছেন অভিষেক। তার পর ৪ এপ্রিল দলনেত্রীর সভা। মাথাভাঙার গুমানি হাটে সভা মমতা আগেও একাধিক বার সভা করেছেন। এই মাঠ তাঁর বহু দিনের চেনা। মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে সাজসাজ রব। মাঠ সাজানোর কাজও চলছে জোরকদমে। সভা সফল করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অঞ্চলে প্রস্তুতি সভা করছেন স্থানীয় নেতারা। রবিবার গুমানির হাট এলাকায় প্রস্তুতি সভা করতে এসেছিলেন কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এলাকা ধরে ধরে প্রস্তুতি সভা করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রী আগের বার যখন গুমানির হাটে সভা করেছিলেন, ৪ তারিখের ভিড় তাকেও ছাপিয়ে যাবে। আর প্রধানমন্ত্রীর সভা ভরাতে বিজেপি অসম থেকে লোক আনার চেষ্টা করছে। এমন মানুষের সভা শুনতে কোচবিহারবাসী আগ্রহী নয়, যিনি এক বর্ণও বাংলা বলতে পারেন না। বাংলা তথা কোচবিহার তার মেয়েকেই চায়। তাই মমতার সভায় সব রেকর্ড ভাঙব আমরা।’’