টিম হোটেল থেকে একানা স্টেডিয়াম। লখনউ সুপার জায়ান্টসের (Lucknow Super Giants) সকলেই বাসে চেপে যান। কিন্তু একজন সেই রাস্তা ধরেন না। তিনি ক্রিকেটের কিংবদন্তি। তাঁর চেয়ে ভালো ফিল্ডার আজ পর্যন্ত দেখেনি বাইশ গজ। বলে দেওয়ার দরকার নেই কার কথা হচ্ছে! ঠিকই ধরেছেন, তিনি কেএল রাহুলের (KL Rahul) লখনউ সুপার জায়ান্টস (Lucknow Super Giants) ফিল্ডিং কোচ জন্টি রোডস (Jonty Rhodes)। আগামী ৩০ মার্চ, লখনউ চলতি মরসুমের প্রথম হোম ম্য়াচ খেলবে শিখর ধাওয়ানের (Sikhar Dhawan) পঞ্জাব কিংসের (LSG vs PBKS, IPL 2024) বিরুদ্ধে।
জন্টিও স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর সেরাটা দিতে মরিয়া টিমের জন্য়। তবে আদ্য়েপান্ত টিমম্য়ান ধরলেন না টিমবাস। লখনউয়ের রাস্তায় দুর্ধর্ষ বাইক চালিয়ে চলে এলেন প্র্যাকটিসে। তার রিলস বানিয়ে লখনউ পোস্ট করেছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। বাইক বলতে শুধু মহেন্দ্র সিং ধোনিই নন, জন্টিও পাগল। ‘অ্যাভিড বাইকার’ শব্দবন্ধটি তাঁর সঙ্গে ভীষণ ভাবেই চায়। এর সঙ্গেই অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় জন্টি। তিনি সুযোগ পেলেই বাইক কেনেন। তবে জন্টির ভরসা একেবারে দেশি প্রোডাক্ট। শুধুই রয়্য়াল এনফিল্ড। ব্রিটিশ ঐতিহ্য়ের গন্ধে মাখা ভারতের দু’চাকা প্রস্তুতকারক বিখ্য়াত কোম্পানির বাইকই কেনেন জন্টি। সংগ্রহে রয়েছে ক্লাসিক ৩৫০, হিমালয়ান ৪৫০, হান্টার ৩৫০ ও শটগান ৬৫০। শটগান চেপেই প্র্যাকটিসে এসেছেন জন্টি। সঙ্গে দুরন্ত সানগ্লাস, কেতাদুরস্ত হেলমেট। অবশ্য়ই পরনে প্র্যাকটিস কিট। সাড়ে ছ’শো সিসির শটগানের দাম প্রায় চার লক্ষ টাকা।
জন্টি কিছুদিন আগে হিমালয়ান ৪৫০ (দাম প্রায় তিন লক্ষ টাকা) চড়ে পোস্ট করেছিলেন ইনস্টাগ্রামে। তিনি লেখেন, ‘নতুন প্রজন্মের হিমালয়ন ৬৫০ র জন্য় আমার টাম্বস আপ। আমি কোনও বিশেষজ্ঞ নই। তবে খুবই আকর্ষণীয় এই বাইক। অবশেষে এমন একটা বাইক পেলাম যা চেপে আমি নদী পার হয়ে পাহাড়ে চড়তে পারব। যদিও আমার বাইক চালানোর দক্ষতা খুবই কম।’ জন্টি নিছকই বিনয়ের সঙ্গেই লিখেছেন। সকলেই জানেন যে, তিনি বাইক দারুণ চালান।