বহুতল ভেঙে ১২ জনের মৃত্যু। গার্ডেনরিচে অবশেষে হুঁশ ফিরল পুরসভা। স্রেফ ৬ বাড়িকে চিহ্নিত করাই নয়, ২ বাড়ির ভাঙার কাজও শুরু হল। এলাকার আরও বেআইনি বাড়ির খোঁজ চলছে। পূলিস সূত্রে তেমনই খবর।
ঘটনাটি ঠিক কী? প্রায় ২ সপ্তাহ পার। গার্ডেনরিচের আজহার মোল্লা বাগানে এলাকায় ঝুপড়ির উপর ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়েন বহু মানুষ। কবে? ১৭ মার্চ, রবিবার রাতে। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন।
ঘটনাটি ঠিক কী? প্রায় ২ সপ্তাহ পার। গার্ডেনরিচের আজহার মোল্লা বাগানে এলাকায় ঝুপড়ির উপর ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকে পড়েন বহু মানুষ। কবে? ১৭ মার্চ, রবিবার রাতে। ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন।
চুপ করে থাকেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন যখন বাড়ি ভাঙার কাজ করছিলেন পুরসভার কর্মীরা, তখন তাঁদের বাধা দেন তাঁরা। দাবি, কোনও নোটিশ ছাড়াই বাড়ি ভাঙা হচ্ছে। আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাড়ির মালিকরা। ফলে গার্ডেনরিচে আপাতত স্থগিত বাড়ির ভাঙার কাজ।
এদিকে গার্ডেনরিচের ওই বহুতলটি যে বেআইনি, তা স্বীকার করেছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। অভিযুক্ত প্রোমোটার এখন পুলিসের হেফাজতে। গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ সারফারাজ ওরফে পাপ্পু নামে আরও একজনকে।
পুলিস সূত্রে খবর, জেরায় প্রোমোটারের দাবি, ৬ তলা বিল্ডিংয়ের একেবারে টোপ ফ্লোরে ফ্লোরে ফ্ল্য়াটে চেয়েছিলেন জমির মালিক। সেই দাবি পূরণ করতেই তড়িঘড়ি উপরতলায় ফ্ল্য়াট তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। নিচের তলায় কাজ আর শেষ করা যায়নি। ফলে ভার ধরতে রাখতে পারেনি বহুতলের কাঠামো। একটু একটু করে বেঁকে যায় বিমগুলি! তারজেরেই এই বিপর্যয়।