ফোনে আড়ি পাতার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে তেলঙ্গানার প্রাক্তন গোয়েন্দা (আইবি) প্রধান টি প্রভাকর রাওয়ের নাম উঠে এল। লোকসভা ভোটের আগে এই কাণ্ডে হইচই পড়ে গিয়েছে তেলঙ্গানায়। অভিযোগ, রাওয়ের নির্দেশেই পূ্র্বতন কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকারের আমলে বিরোধীদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল।
রাও এখন আমেরিকায় রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। রাওয়ের হায়দরাবাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। আরও একাধিক জায়গায় তল্লাশি চলেছে। তেলুগু টিভি চ্যানেল আই নিউজের প্রধান শ্রাবণ রাওয়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, তিনিও এখন দেশের বাইরে রয়েছে। অভিযোগ, ফোনে আড়ি পাতার প্রযুক্তি ইজরায়েল থেকে আনিয়ে স্থানীয় স্কুলে তার সার্ভার বসাতে সাহায্য করেছিলেন শ্রাবণ।
আর এক পুলিশ আধিকারিক রাধাকিষাণ রাওয়ের নামও রয়েছে অভিযুক্তের তালিকায়। তাঁর বিরুদ্ধেও লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। রাও, রাধাকিষাণ-সহ আরও বেশ কয়েক জন আধিকারিকের নাম রয়েছে তালিকায়। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভুজঙ্গ রাও, তিরুপাথান্ন, ডেপুটি সুপার প্রণীত রাও। পুলিশ জানিয়েছে, ভুজঙ্গ, তিরুপথন্ন ফোনে আড়ি পাতার ঘটনা স্বীকার করেছে। প্রমাণ লোপাটের কথাও মেনে নিয়েছে। অভিযোগ, মূল অভিযুক্ত রাওয়ের নির্দেশেই প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিআরএস দলকে হারিয়েছে কংগ্রেস। তার পরের দিনই রাও প্রমাণ নষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযোগ, চন্দ্রশেখর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি-সহ বিজেপি এবং কংগ্রেসের নেতাদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছিল। আরও অভিযোগ, তেলুগু অভিনেতা, ব্যবসায়ীদের ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছে। কয়েক জনকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রায় এক লক্ষ ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী রেড্ডি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় আরও তথ্য প্রকাশ্যে আসতে চলেছে। পূর্বতন বিআরএস সরকারকেও একহাত নিয়েছেন তিনি।