প্রাক বসন্ত উৎসবে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হল ফ্যাশন শো। ঝাড়গ্রাম জেলায় এই প্রথম কোনো বিদ্যালয়ে এই ধরনের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হলো। ফ্যাশন শো- এর পাশাপাশি প্রাক বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা।
শনিবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম ননিবালা বালিকা বিদ্যালয়ে প্রাক বসন্ত উৎসব ও ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন, ঝাড়গ্রামের ডিআই শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিমাংশু মণ্ডল, ঝাড়গ্রামের বিশিষ্ট কবি দেবাশিস দণ্ড, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অরুন্ধতী সেন সহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষিকারা।
বিদ্যালয়ে প্রথম এই ধরনের ফ্যাশন শো প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের ডিআই শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি সাধুবাদ জানাই, খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ছাত্রীদের মধ্যে যে প্রতিভা রয়েছে সেই প্রতিভার উন্মেষ ঘটছে। বর্তমান যুগের সঙ্গে তারা সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলতে চাইছে এটা সত্যই খুবই ভালো উদ্যোগ। পড়াশোনার পাশাপাশি পড়ুয়াদের মধ্যে আনন্দের উৎসবেরও দরকার রয়েছে এবং সাংস্কৃতিক চর্চার প্রয়োজন রয়েছে সেই আবেদনের সাড়া পেয়ে আজ আমি এখানে এসেছি। আমার খুবই ভালো লাগছে আমি অনুষ্ঠান উপভোগ করছি”।
প্রাক বসন্ত উৎসবে ছাত্রীদের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সেই প্রসঙ্গে ডিআই বলেন, “এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। আমি যদি নিজের হাতে না করি তাহলে অপরকে উৎসাহিত করবো কিভাবে। আমি শুনেছিলাম উনি ভালো নাচ করেন, আজ আমি তার প্রমাণ পেলাম। বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি জীবনের সংসারিক কাজের মধ্যেও উনি ওনার প্রতিভাকে ধরে রাখতে পেরেছেন তার জন্য উনাকে আমি আরো উৎসাহিত করব এবং বলবো আরো চর্চা করার জন্য।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অরুন্ধতী সেন বলেন, “বিদ্যালয়ে আজ প্রাক বসন্ত উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্রীদের বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য কেবলমাত্র পড়াশোনা নয়, তার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিভায় এগিয়ে যেতে হবে। তাই এদিনের এই ফ্যাশন শো’র আয়োজন করা হয়।”
জানা গিয়েছে, “ক” বিভাগ ও “খ” বিভাগ নিয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ৫০ জন ছাত্রী এদিনের ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণ করে। বিশিষ্ট বিচারক মন্ডলী দ্বারা তাদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় চিহ্নিত করে পুরস্কৃত করা হয়।