১৪৩ টা দেশের মধ্যে ২০২২ এর হ্যাপিনেস ইনডেক্স এ ইন্ডিয়ার???? অবস্থান ১২৬ তম, ৪.০৫/১০ পয়েন্টস পেয়ে। ২০২৩ এর তুলনায় ০.১ পয়েন্ট বেড়েছে। ২০২২ এ ৩.৭৮ পেয়ে ১৩৬ তম অবস্থান ছিল। ২০১২ তে ইন্ডিয়া ৫.৫ পেয়ে ১১০ তম স্থান অধিকার করেছিল। ফিনল্যাণ্ড, যে দেশে নভেম্বর থেকে মার্চ গড়ে ৪ ঘন্টাও মেঘের আড়ালেও সূর্য্য ওঠেনা, খুব ঠান্ডা, সেই ফিনল্যাণ্ড ২০২২ এ ৭.৮২ পয়েন্টস পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল, ২০২৪ এ ৭.৭৪ পেয়ে প্রথম হয়েছে। অর্থাৎ এদের সুখ কিছুটা কমেছে। ব্রাজিল এর অধিবাসীরা ৬.২৬ পেয়ে ৪৪ তম সুখী দেশ ২০২৪ এর রিপোর্টে। চীন 5.97 পেয়ে ৬৪ তম। কঙ্গো ৫.২২ পেয়ে ৮৯তম , নাইজেরিয়া 4.88 পেয়ে ১০২তম , রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত পাকিস্তান ৪.৬৬ পেয়ে ১০৮ তম , 4.23 পেয়ে মালি 122 তম , বাংলাদেশ 3.89 পেয়ে 129 তম -২০২২ এ বাংলাদেশ ৫.১৬ পেয়ে ৯৪ তম ছিল, আফগানিস্তান ১.৭২ পেয়ে ১৪৩ তম। নিচে লিংক দিয়ে দিলাম।
হ্যাপিনেস ইনডেক্স এ নিচের ৬ টা ফ্যাক্টর দিয়ে মাপা হয়!
GDP per capita (মাথা পিচু গড় আয়), social support ( বিপদে প্রতিবেশীর সাহায্য ), healthy life expectancy ( সুস্থ জীবন প্রত্যাশা) , freedom ( স্বাধীনতা), generosity ( উদারতা ), and corruption (দুর্নীতি)।
আমার জানা নেই কোন ফ্যাক্টর এর জন্য মোট পয়েন্ট এর কত % পয়েন্ট নির্ধারিত হয়েছে ও কোন ফ্যাক্টর এ ইন্ডিয়া কত % পেয়েছে।
সব দিক দিয়ে অনেক দুর্বল দেশ ভালো rank করেছে। তার পিছনে কারণ কি? পুরো ডেটা না পেলে, কেবল পয়েন্ট দেখে মন্তব্য করা সম্ভব নয়!
২০১২ তে ইন্ডিয়া ৫.৫ পেয়ে ১১০ ত ম স্থান অধিকার করেছিল।
তা হলে ২০১২ থেকে ২০২৩ এর মধ্যে এমন কি ঘটলো, যে পয়েন্ট কমলো? আমার ধারণা সোশ্যাল মিডিয়া, মদ, বিরিয়ানি, বার্গার, পিজা , KFC , কোল্ড ড্রিঙ্কস, আইপিএল মূল দায়ী। সরকারী দুর্নীতি ক্রমশ একটু একটু কমছে। মুখ্যমন্ত্রী – মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছে।
সরকারী দান প্রচুর বেড়েছে। না খেয়ে কাউকেই সেই অর্থে ইন্ডিয়াতে পারি কাউকেই মরতে হয়না। খালি পেটে তারাই থাকে, যারা লজ্জা তে সরকারী সাহায্য নিতে চায়না বা অনেক জায়গায় সরকারী দল না করলে যাদের সাহায্য জোটেনা।
সোশ্যাল মিডিয়াতে গড়ে ৪-৮ ঘন্টা সময় দেবার জন্য বা টিভি সিরিয়াল দেখার জন্য, জনগণ বাস্তব সমাজের মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই বিপদে কেহ কারো সাহায্য আশা করতে পারেনা । মদ, বিরিয়ানি, বার্গার, পিজা , KFC , কোল্ড ড্রিঙ্কস খেয়ে, আইপিএল দেখে নিজের স্বাস্থ্যের এক দিকে ক্ষতি করছে, অন্য দিকে আর্থিক ভাবে দুর্বল হচ্ছে। আর যারা আর্থিক কারণে খেতে পারছেনা, হীনমন্যতায় ভুগছে। আর উদারতা সমাজ থেকে যে উঠে যাচ্ছে, তার প্রমান ফিল্ম এর নানা গল্প, ডেইলি মিডিয়ার রিপোর্ট, মানুষের আত্মকেন্দ্রিকতা। তবে শো ব্যবসা বাড়ছে যেমন তেমনি পূজার নামে জাকঁজমকতা।
আমার ধারনা ইন্ডিয়া social support , healthy life expectancy, generosity খুব খারাপ নম্বর পেয়েছে। কেহ যদি পুরো ডেটা কিনে থাকে, আমাকে দিলে খুশী হবো!
সব দেশে গণমাধ্যমে এ নিয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। যদি জনসংখ্যা বৃদ্ধি মুখ্য কারণ হয়, চীনের মত আইন করা উচিত। যে জন্মেনি,তার যেমন ভোট নেই, ক্ষুধা কষ্ট অশান্তিও নেই। যারা বংশ পরম্পরায় গরিব,তারা যতই জন্মহার বাড়াক, কোন যুক্তিতে বাবা মায়ের দায়িত্ব নেবার সামর্থ্য অর্জন করবে?
মালি তে ধর্মীয় কারণে নেশা নিষিদ্ধ বলেই কি তারা তুলনামূলক সুখী? তবে স্কোর বিবেচনা করলে মানুষের সুখ ক্রমশ কমছে। এরপর হয়ত অনেক দেশের সরকার মানুষ কে সুখী করার জন্য ফ্রিতে ডোপামিন ট্যাবলেট দেবে।
মৃণাল মজুমদার, বার্লিন
https://worldpopulationreview.com/country-rankings/happiest-countries-in-the-world
https://www.researchgate.net/publication/374901153_Factors_influencing_Happiness_Index_of_India