রাফাল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে জড়িয়ে রাহুল গান্ধী যে মন্তব্য করেছিলেন তা নিয়ে মামলা চলছিল শীর্ষ আদালতে। সেই মামলায় ইতি টেনে বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, রাহুল গান্ধীকে কথা বলার সময়ে আরও সতর্ক হতে হবে। এরপরই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানাল বিজেপি। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “রাহুল গান্ধীর উচিত সারা দেশের মানুষের সামনে ক্ষমা চাওয়া।”
রবিশঙ্কর আরও বলেন, “রাহুল গান্ধী এখন আপনার ক্ষমা চাওয়া উচিত। আজও রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত রায় নিয়ে পর্যালোচনার আবেদনটি নাকচ হয়ে গেছে। আপনি আদালত থেকে নিজেকে বাঁচাতে ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু আপনি কি ভারতের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে পারবেন?” একইস সঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, “রাহুল শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেই অপমান করেননি। উনি প্রাক্তন ফরাসী প্রেসিডেন্টকেও ভুল উদ্ধৃত করে বক্তৃতা করেছেন একাধিক সভায়। আমরা জানি ওঁকে কারা পিছন থেকে মদত দেয়!”
ভারতের উত্তর থেকে দক্ষিণ—যেখানে তিনি লোকসভা ভোটের প্রচার করতে গিয়েছেন, বক্তৃতার শুরুতে, মাঝে, শেষে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বলা কে এক রকম অভ্যেসে পরিণত করে ফেলেছিলেন। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বন্ধু তথা শিল্পপতি অনিল আম্বানীকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
মোদী নিজেকে জনগণের চৌকিদার বলতেন। রাহুল একসময় বলেন, সুপ্রিম কোর্টও মেনে নিয়েছে, চৌকিদার চোর হ্যায়। এই মন্তব্যের পর রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি। সেই মামলা বৃহস্পতিবার বন্ধ করে সুপ্রিম কোর্ট। তবে একইসঙ্গে বিচারপতিরা রাহুলকে সতর্ক করে বলেছেন, ভবিষ্যতে তিনি যেন আরও সতর্ক হয়ে মন্তব্য করেন।
রাফায়েল বিতর্কে কয়েকটি নথি কোর্টে পেশ করতে আপত্তি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ১০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট সেই আপত্তি নাকচ করে দেয়। তখন রাহুল বলেন শীর্ষ আদালত মেনে নিয়েছে, চৌকিদার চোর হ্যায়। পরে তিনি আদালতে নিঃশর্তে ক্ষমা চান। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের পরেই ওই কথা বলা তাঁর উচিত হয়নি। এদিন সুপ্রিম কোর্টের সতর্ক করাকে রাহুলের বিরুদ্ধে নতুন হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়ল বিজেপি।