তামিলনাড়ুর সালেমে এক জনসভায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মুখে উঠে এল রমেশের নাম। আর এই রমেশের কথা বলতে বলতেই গলা ধরে এল তাঁর।
মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারে ওই রাজ্যের সালেমে একটি জনসভা করেন মোদী। সেই জনসভা থেকে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আজ সালেমের সেই রমেশ আর নেই।” এই রমেশের কথা স্মরণ করতে গিয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কে এই রমেশ, যাঁর কথা জনসভায় তুলে ধরেছিলেন মোদী?
রমেশ আর কেউ নন, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। না, যে রমেশের কথা মোদী উল্লেখ করেছেন, সেই রমেশ এখন আর জীবিত নেই। ২০১৩ সালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যদিও অভিযোগ, রমেশকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। পুরো নাম ভি রমেশ। ২০১৩ সালে সালেমের মারাভানেরি এলাকায় তাঁর বাড়ির ভিতরে দুষ্কৃতীরা কুপিয়ে খুন করে বলে অভিযোগ। সেই রমেশ ছিলেন বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী। দিনরাত এক করে দলের জন্য কাজ করতেন বলে দাবি এলাকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। সুবক্তাও ছিলেন রমেশ। আর সে কারণে তিনি ‘অডিটর’ নামেও দল এবং দলীয় কর্মীদের কাছে পরিচিত ছিলেন।
মঙ্গলবার দলের সেই ‘সম্পদের’ কথাই উল্লেখ করেছেন মোদী। রমেশ যে দলের এক জন বড় ‘সম্পদ’ ছিলেন, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। আর দলের সেই ‘সম্পদের’ কথা বলতে গিয়েই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ আমি সালেমে এসেছি। অডিটর রমেশের কথা খুব মনে পড়ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটাই যে, সেই রমেশকে আজ খুঁজে পাচ্ছি না।” মোদীর আরও মন্তব্য, “দলের হয়ে দিনরাত কাজ করতেন রমেশ। আমাদের একনিষ্ঠ নেতা ছিলেন। সুবক্তা ছিলেন। পরিশ্রমী ছিলেন। রমেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং শ্রদ্ধা জানাই।”
আগামী ১৯ এপ্রিল তামিলনাড়ুতে ভোট। রাজ্যের প্রতিটি ভোট বিজেপি এবং এনডিএ জোটের পক্ষেই যাবে বলে মনে করেন মোদী। তাঁর কথায়, “তামিলনাড়ু সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে, এ বার বিজেপি এবং এনডিএকে ৪০০ পার করাবে।”