রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)-এর সব শূন্যপদে নিয়োগ শুরু করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে নিয়োগ আটকে রয়েছে। এই নিয়োগের জন্য বহু প্রার্থী অপেক্ষায় রয়েছেন। তাই স্বচ্ছ ভাবে দ্রুত নিয়োগ শুরু করুক পিএসসি।
পিএসি-র মাধ্যমে রাজ্যের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ আটকে থাকার অভিযোগে মামলাকারীর আইনজীবী শামিম আহমেদ সোমবার আবেদন জানান, যে হেতু চেয়ারম্যান নিয়োগ হয়েছে এ বার শূন্যপদে নিয়োগ শুরু হোক। নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পিএসসিকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিক আদালত। ওই বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘‘কেন সন্দেহ করছেন? আমরা শুধুমাত্র সন্দেহের উপর ভিত্তি করে কিছু নির্দেশ দিতে পারি না। এটা সাংবিধানিক কোর্ট।’’ আদালত জানায়, স্বচ্ছ পদ্ধতিতে নিয়োগ করবে পিএসসি।
রাজ্যে সরকারি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে পিএসসি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ডব্লিউসিএস (এগজ়িকিউটিভ) কিংবা জুডিশিয়াল সার্ভিসের মতো চাকরিতে নিয়োগের নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতে। অথচ, দীর্ঘদিন ধরে সেই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে কেউ ছিলেন না। তার ফলে বহু নিয়োগ আটকে আছে। আটকে রয়েছে বিভিন্ন জুডিশিয়াল সার্ভিস এবং ডব্লিউবিসিএস-এর মতো পরীক্ষার ইন্টারভিউও। এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে।
মামলাকারীর আইনজীবী শামিম আহমেদ কোর্টকে জানিয়েছিলেন, পিএসসিতে ৬-৭ জন সদস্য থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে পিএসসিতে সদস্য রয়েছেন মাত্র দু’জন। নেই চেয়ারম্যানও। যার প্রেক্ষিতে গত ৮ মার্চ প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ জানিয়েছিল, রাজ্য সরকার যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারে, তা হলে হাই কোর্ট চেয়ারম্যান নিয়োগ করার দায়িত্ব নেবে। এর পরে গত সপ্তাহে পিএসসির চেয়ারম্যান নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার।