গার্ডেনরিচে বিপর্যয়ের ঘটনায় প্রোমোটার ও অন্য জড়িতদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে (সুয়ো মোটো) মামলা দায়ের করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুরসভাও শো-কজ় করেছে তিন ইঞ্জিনিয়ারকে। এ কথা জানিয়েছেন খোদ মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
রবিবার রাতে পুরসভার ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বহুতলের একাংশ ভেঙে পড়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই এলাকাটি ১৫ নম্বর বরো এলাকার অন্তর্গত। ফিরহাদ জানিয়েছেন, ওই বরোর এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ও সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে শো-কজ় করা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান জানাতে বলা হয়েছে তাঁদের। সময়ের মধ্যে তাঁরা যদি সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে বলে খবর পুরসভা সূত্রে। সূত্রের বক্তব্য, কোন ওয়ার্ডে কত বেআইনি বাড়ি আছে, তা চিহ্নিত করা তাঁদের দায়িত্ব ছিল। সেই কাজে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন। দায়িত্ব পালন করেননি।
ফিরহাদ বলেন, ‘‘বাড়িটা উঠল কী করে? আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি। টক টু মেয়রেও বলেছি। বেআইনি নির্মাণের শুরুতেই ধরব। বাড়ি তৈরি হয়ে গেলে, মানুষ সেখানে থাকতে শুরু করলে মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। এ সব কেন হবে? শুরুতেই আটকে দিলে তো এ সব ঘটে না।’’ যদিও তিন আধিকারিক ঘনিষ্ঠ মহলে দাবি করেছেন যে, বাড়িটা অনেক ভিতরে ছিল। সেই কারণে তাঁদের নজর এড়িয়ে গিয়েছে।
গার্ডেনরিচের ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ। সূত্রের খবর, ধৃত এক জন প্রোমোটার। লালবাজার সূত্রে খবর, এই ঘটনায় প্রোমোটার-সহ অন্য জড়িতদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করবেন ডিডি হোমিসাইড।