ফের জেলায় হাতির হানায় মৃত্যু। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির নাপোতে। মৃত ব্যক্তির নাম বাদল দত্ত। বাড়ি কুসুমপুরে। পেশায় কেশিয়াড়ি হাইস্কুলের শিক্ষক।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে বেলদা রেঞ্জের তেলে পুষ্করিনীর জঙ্গলে ৬০টি হাতির একটি পাল প্রবেশ করে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারা ভিড় জমান হাতি দেখতে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই মাইকিং শুরু করে বনদপ্তর। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন উৎসুক জনতাকে। হাতিকে বিরক্ত না করা এবং কাছাকাছি না যেতেও সতর্ক বার্তা দেওয়া হয় বনদপ্তরের পক্ষ থেকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিগুলিকে তাড়ানোর জন্য নয়াগ্রাম এবং কলাইকুন্ডা থেকে একাধিক হুলা টিম মোতায়েন করা হয়েছিল। সন্ধে নামতেই হাতিগুলি জঙ্গল ছেড়ে কুসুমপুর এলাকায় চলে যায়। পিছু নেয় হুলা টিমের সদস্যরাও। সেই সময় মোটর বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন বাদলবাবু। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাস্তায় হাতির সম্মুখে পড়ে গেলে বাইক ফেলে পালানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাতি শুঁড়ে ধরে আছাড় মারে। পরে হাতিগুলিকে তাড়িয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পরই ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এলাকায়। ক্ষিপ্ত জনতা হুলা টিমের সদস্যদের তাড়া করে বলে অভিযোগ।
হুলা টিমের এক সদস্য বলেন, “সকাল থেকেই মানুষজন হাতি দেখার জন্য ভিড় করেন জঙ্গলে। অনেকেই কাছাকাছি চলে যায় ছবি তোলার জন্য। সন্ধে হয়ে গেলেও পাশাপাশি এলাকার মানুষজন হাতি দেখতে আসেন। হাতির গতিপথে বাধা সৃষ্টি হয়। যার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।”