ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টেস্ট জয়ের দিনেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছিল টেস্ট খেললে বাড়তি টাকা দেওয়া হবে ক্রিকেটারদের। সুনীল গাওস্কর মনে করেন ওই পরিমাণ টাকা ঘরোয়া ক্রিকেটেও দেওয়া উচিত। তাতে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে ক্রিকেটারেরা অনেক বেশি উৎসাহিত হবেন।
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক গাওস্কর খুশি বোর্ড টেস্ট খেলার জন্য ক্রিকেটারদের বাড়তি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায়। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “রাহুল দ্রাবিড় বলেছিল ক্রিকেটারদের এই যে বাড়তি টাকা দেওয়া হচ্ছে, সেটাকে ও পুরস্কার বলতে চাইবে। এটা বিসিসিআই-এর দারুণ একটা সিদ্ধান্ত। তবে আমি বলব টেস্ট ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর রঞ্জি ট্রফির দিকে নজর দিতে। রঞ্জিতে ক্রিকেটারেরা যে টাকা পায়, সেটা দ্বিগুণ বা তিন গুণ করে দেওয়া হলে আরও বেশি করে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে চাইবে সকলে। রঞ্জি খেলে তেমন টাকা পাওয়া যায় না বলেই অনেকে খেলতে চায় না। রাজ্যের হয়ে ১০টা ম্যাচ খেলার জন্য আরও বেশি টাকা চায় ক্রিকেটারেরা।”
ইংল্যান্ডকে টেস্ট সিরিজ়ে হারাতেই সচিব জয় শাহ ঘোষণা করেন, এক মরসুমে কোনও ক্রিকেটার যদি বেশি টেস্ট খেলেন, তা হলে ‘ইনসেন্টিভ’ হিসাবে তিনি বছরের শেষে আলাদা করে টাকা পাবেন। ম্যাচ ফি বা কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে যে অর্থ পান তা তো রয়েছেই। পাশাপাশি বাড়তি টাকাও দেওয়া হবে। এমনকি, কেউ প্রথম একাদশে না থাকলেও টাকা পাবেন। অতীতে কোনও দেশকেই এই উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। এর জন্য বোর্ডের কোষাগার থেকে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
নিজের পোস্টের সঙ্গে একটি তালিকা দিয়েছেন জয়। ধরা যাক এক মরসুমে ভারত ৯টি টেস্ট খেলবে। কোনও ক্রিকেটার যদি ৫০ শতাংশের কম, অর্থাৎ ৪টির কম টেস্ট খেলে থাকেন, তা হলে ‘ইনসেন্টিভ’ হিসাবে কোনও টাকা তিনি পাবেন না। কোনও ক্রিকেটার যদি ৫০ শতাংশের বেশি, অর্থাৎ ৫টি বা ৬টি টেস্ট খেলে থাকেন, তা হলে ‘ইনসেন্টিভ’ পাবেন। প্রথম একাদশে থাকলে ম্যাচ পিছু ৩০ লাখ টাকা এবং প্রথম একাদশে না থাকলে ম্যাচ পিছু ১৫ লাখ টাকা করে পাওয়া যাবে।
কোনও ক্রিকেটার যদি ৭৫ শতাংশের বেশি, অর্থাৎ ৯টির মধ্যে ৭টি বা তারও বেশি ম্যাচ খেলেন, তা হলে টাকার অঙ্ক অনেকটাই বাড়বে। সে ক্ষেত্রে প্রথম একাদশে থাকা ক্রিকেটার ম্যাচ পিছু ৪৫ লাখ টাকা করে পাবেন। প্রথম একাদশে না থাকলে ম্যাচ পিছু ২২.৫ লাখ টাকা করে পাবেন। জয় শাহ লেখেন, “পুরুষ দলের ক্রিকেটারদের জন্য ‘টেস্ট ক্রিকেট ইনসেন্টিভ স্কিম’ চালু করতে পেরে আমি খুশি। এতে আমাদের সম্মানীয় ক্রীড়াবিদদের আর্থিক উন্নতি হবে। ২০২২-২৩ মরসুম থেকেই ‘টেস্ট ক্রিকেট ইনসেন্টিভ স্কিম’ চালু হতে চলেছে। টেস্ট ম্যাচ খেলার জন্য ম্যাচ পিছু যে ১৫ লাখ টাকা পাওয়া যায়, তার বাইরে এই টাকা দেওয়া হবে।”