Drugs Prices Hike: ১ এপ্রিল থেকেই বেড়ে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম…

লোকসভা ভোটের আবহ দেশ জুড়ে। আগামীকালই ঘোষণা করা হবে নির্ঘণ্ট। এর মধ্যে সমস্ত দলই প্রচারের তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় সরকার তার নানা প্রকল্প ঘোষণা করছে। সব দলই নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমেছে। কিন্তু এরই মধ্যে বড় ঘটনা। দাম বাড়ছে ওষুধের। ‘হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স’ (ডাব্লিউপিআই) অনুসারে সরকার ‘ন্যাশনাল লিস্ট অফ এসেনশিয়াল মেডিসিনসে’র তালিকাভুক্ত ওষুধের দাম .০০৫৫ শতাংশ বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে।

কোন কোন ওষুধের দাম বাড়ছে?

এবার বহু ওষুধের দাম বাড়ছে। দাম বাড়ছে ৮০০টি ওষুধের। যে-যে ওষুধের দাম বাড়তে চলেছে তার মধ্যে রয়েছে পেইনকিলার, অ্যান্টিবায়োটিকস, অ্যান্টি-ইনফেকটিভস।

বছরে একবারই ওষুধের দাম বাড়ে। ২০২৩ সালেও ওষুধের দাম বেড়েছিল– ১২ শতাংশ। বেড়েছিল ২০২২ সালেও– ১০ শতাংশ। এবার, ২০২৪ সালেও বাড়ছে।   

ওষুধের দাম যে বাড়তে পারে, এর একটা ইঙ্গিত ছিলই। স্বাস্থ্য় মন্ত্রক এ বছরের গোড়ার দিকে কিছু নির্দেশিকা দিয়েছিল। সেই নির্দেশিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি তখনই দুটি বিষয়ে তাদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। তারা বলেছিল, ওষুধের ঘাটতি হবে, এবং ওষুধের দামও বাড়বে। স্বাস্থ্য় মন্ত্রক যে সুপারিশগুলি করেছিল, তার সবগুলিই ওষুধের গুণমান যথাযথ রাখার দিকে তাকিয়ে। তবে, তাতে সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানির খরচ বেশ কিছুটা বাড়বে বলেই অনুমান ছিল।

ওষুধের দাম কম করার উদ্দেশ্যে বিশেষ গুরুত্ব দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটে মাসিক ৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি লক্ষ করা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, ওষুধের বাজারে এই বৃদ্ধির নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মূল্যবৃদ্ধি এবং নতুন ওষুধের বাজারে প্রবেশ। স্বভাবতই ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেট প্রসারিত হলেও সাধারণ মানুষের ওষুধ কেনার খরচ বেড়েছে। যদি ওষুধের ক্ষেত্রে মাসিক বৃদ্ধি পরিসংখ্যানের দিকে নজর রাখা যায় তবে জানা যায়, কার্ডিয়াক সেগমেন্ট, অ্যান্টি ইনফেকটিভ সেগমেন্ট এবং অ্যান্টি নিওপ্লাস্টি সেগমেন্টের ক্ষেত্রে ভালো বৃদ্ধি ঘটেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.