আগামী ১০ মার্চ (রবিবার) যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Saltlake Stadium) আইএসএলের (ISL 2023-24) ফিরতি কলকাতা ডার্বিতে (Kolkata Derby) মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল এফসি ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (East Bengal vs Mohun Bagan Super Giant, EBFC vs MBSG)। ওদিনই আবার রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড। আইনশৃঙ্খলা জনিত কারণেই ডার্বিতে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে প্রথমে জানিয়েছিল বিধাননগর পুলিস। পরে ইস্টবেঙ্গল ও পুলিসের বৈঠকের পরেই বেরিয়ে আসে সমাধান সূত্র। ১০ মার্চই ডার্বি হচ্ছে। সন্ধে ৭টা ৩০ মিনিটের বদলে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্য়াচ। অর্থাৎ এক ঘণ্টা পিছিয়ে যাচ্ছে খেলা। যার মানে বড় ম্যাচ শেষ হতে হতে প্রায় ১১টা ১৫!
যাদের নিজস্ব বাইক বা গাড়ি নেই, তাদেঁর ফেরার একমাত্র ভরসা গণপরিবহণ। অত রাতে বাড়ি ফেরা কিছুটা হলেও সমস্য়াদায়ক। কারণ সেই সময় বাস বা ট্রেনের সংখ্য়া কমতে থাকে। তার চেয়ে বড় কথা হল শুধু তো কলকাতার সমর্থকরাই আসবেন না খেলা দেখতে। বহু ইস্ট-মোহন সমর্থক আসবেন বিভিন্ন জেলা থেকেও। এই ডার্বির আয়োজক ইস্টবেঙ্গল চাইছে, দর্শকরা বাড়ি ফিরুন নিশ্চিন্তে। তার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পক্ষ থেকে চিঠি গিয়েছে রাজ্য়ের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও মেট্রো রেলের প্রিন্সিপাল চিফ অপারেটিং অফিসার সৌমিত্র বিশ্বাসের কাছে। লাল-হলুদের মেট্রোকে অনুরোধ করেছে খেলা শেষের পর অতিরিক্ত মেট্রো পরিষেবা দেওয়ার জন্য়। অন্য়দিকেপরিবহণ দফতর কাছে ক্লাবের অনুরোধ, খেলা শেষের পর যেন উল্টোডাঙা, এসপ্ল্যানেড, গড়িয়া, বেহালা ও বারাসতের পাশাপাশি হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে যাওয়ার অতিরিক্ত বাস চালানো হয়।
ঘটনাচক্রে ১০ তারিখের বদলে ১১ মার্চ ডার্বি আয়োজন করাই যেতে পারত। তবে সেদিন সোমবার। এরকম কর্মমুখর দিনে ইস্ট-মোহন ম্য়াচ চায়নি এফএসডিএল। ১০ তারিখের বদলে ১৩ মার্চ এই ম্য়াচ করা যেত না। কারণ ওদিন আবার মোহনবাগানের ম্য়াচ রয়েছে। ফলে সূচি ঘাঁটলে জটিলতা আরও বাড়ত। গত ৪ ফেব্রুয়ারি শেষবার ইস্ট-মোহন মুখোমুখি হয়েছিল সল্টলেক স্টেডিয়ামে। খেলার ফল ছিল ২-২। অর্থাৎ ড্র। যুবভারতীতে আসা ৫৭ হাজার ৯৮৩ জন দর্শকের সঙ্গেই সারা বিশ্বের কোটি কোটি ইস্ট-মোহন ফ্য়ান একবাক্য়েই যে খেলা দেখে বলেছিলেন যে, তাঁরা বহুদিন পর অসাধারণ একটা ডার্বি দেখলেন। পুরো সময় জুড়েই লড়াই ছিল সেয়ানে-সেয়ানে। আর সেবার প্রথম আইএসএল ডার্বি ড্র হয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে ডার্বি ছিল ঐতিহাসিক।