মুখপাত্র পদে কুণালের ইস্তফা গ্রহণের পর আরও এক ধাপ! রবিবার তাঁকে শোক়জ করতে চলেছে দল

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র পদ থেকে শুক্রবার ইস্তফা দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। শনিবার মুখপাত্র পদে তাঁর ইস্তফা গৃহীতও হয়েছে। তার পর আরও এক ধাপ এগোচ্ছে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, রবিবার কুণালকে শোক়়জ নোটিসও পাঠাতে চলেছে দল।

শনিবার সন্ধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনেই সবার প্রথম মুখপাত্র পদে কুণালের ইস্তফা গৃহীত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছিল। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে কুণাল খানিকটা ‘বেপরোয়া’ হয়েই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে চলেছেন বা সংবাদমাধ্যমে কথা বলে চলেছেন বলে অনেকের মত। শনিবার সন্ধ্যাতে কুণাল এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) লেখেন, ‘‘আমি তৃণমূলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। খবর পেয়েছি, শুধু মুখপাত্র থেকে ইস্তফার অংশটি গ্রহণ করা হয়েছে। দলের কাছে আমার সবিনয় অনুরোধ, সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফাটিও গ্রহণ করা হোক। আমি ওই পদে থাকব না। আমি শুধু কর্মী হিসেবে থাকব।’’ কুণাল সংবাদমাধ্যমে এ-ও বলেছেন, ‘‘আমার কোনও মান-অভিমান নেই। আমি জীবনে উত্থান-পতন, স্বর্গ-নরক দেখেছি। তাই আমি সব কিছুকে স্বচ্ছ ভাবে দেখতে চাই। সেটাই হয়ে যায় মুশকিল।’’

গোটা ঘটনাপ্রবাহে তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব যে ক্ষুব্ধ, তা শাসকদলের প্রথম সারির নেতারা একান্ত আলোচনায় গোপন করছেন না। দলের নেতারা মনে করছেন, এই ধরনের প্রবণতা অনেক সময়েই ‘সংক্রামক’ হয়। লোকসভা ভোটের আগে এ সব ছড়াতে শুরু করলে তা তৃণমূলের পক্ষে আদৌ ‘স্বাস্থ্যকর’ হবে না। তাই বিলম্ব না-করে মুখপাত্রের পদে তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করে নিয়েছে দল। ওই পদক্ষেপের মাধ্যমে কুণালকে প্রয়োজনীয় ‘বার্তা’ও দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন দলের নেতারা। কিন্তু তাতেও বিষয়টি না থামায় এ বার তৃণমূল শোকজ়ের পথে হাঁটতে চলেছে।

প্রসঙ্গত, এর আগেও এক বার কুণালকে মুখপাত্র হিসেবে ‘সেন্সর’ করেছিল দল। কিন্তু তার পরে কুণালকে আবার মুখপাত্রের দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এ বার কী হবে, সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.