ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দেব তথা দীপক অধিকারীর পৃষ্ঠপোষকতায় আজ থেকে ডেবরায় শুরু হলো গ্রামীণ মেলা। মেলা হচ্ছে হরিমতি হাইস্কুল সংলগ্ন মাঠে। এই মেলার নাম দেওয়া হয়েছে ডেবরা গ্রামীণ উৎসব ২০২৪। এবার এই মেলা অষ্টম বছরে পড়ল। উদ্যোক্তাদের দাবি, এই মেলা জেলার অন্যতম জনপ্রিয় গ্রামীণ মেলা। মেলা শুরু হয় আজ ১ মার্চ থেকে, চলবে ৮ মার্চ পর্যন্ত।
বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবিরকে চেয়ারম্যান করে তৈরি করা হয়েছে মেলা কমিটি। সাংসদ প্রতিনিধি তথা ডেবরা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সীতেশ ধাড়াকে সভাপতি ও অশোক রায়কে সম্পাদক করা হয়েছে। তবে মেলার বেশির ভাগটাই সামাল দিতে হয় সভাপতিকেই। সুষ্ঠুভাবে মেলা পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সভাপতি জানান, কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তাদের নিয়ে একাধিক বৈঠকও হয়েছে। প্রতিদিনই অলোচনায় বসা হচ্ছে।
সভাপতি বলেন, সাংসদ দীপক অধিকারীর উদ্যোগেই ২০১৭ সালে প্রথম এই মেলা শুরু হয়। এখন তিনি এই মেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় মেলা শুরু হলো ১ মার্চ। প্রতিবারই মেলাকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা দেয়। মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় উপচে পড়ে। এবারও সেরকমই ভিড় হবে ধরে নিয়ে এখন থেকে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, ডেবরা ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর ও জেলার অন্যান্য জায়গা থেকেও বহু মানুষ মেলা দেখতে আসেন। তাঁদের দিকে তাকিয়ে মেলার আকর্ষণ বাড়ানোর সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মেলায় দু’ শতাধিক স্টল থাকছে। ছোটদের মনোরঞ্জনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। থাকছে একাধিক খাবারের স্টল। প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও থাকছে। সেখানে কলকাতার নামী শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। থাকবেন স্থানীয় শিল্পীরাও। স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি আদিবাসী শিল্পীরাও থাকছে। মেলাকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু সামাজিক কর্মসূচি। হবে রক্তদান ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির। অঙ্কন ও যোগাসন প্রতিযোগিতারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সভাপতি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও মেলাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সর্বস্তরের মানুষ ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক হুমায়ুন কবির, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, মহকুমা শাসক পাতিল যোগেশ, অশোক রাওসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।