বিরাট ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। লেসলি ক্লডিয়াস সরণির শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের মুখ পুড়ল। আধার কার্ড জালিয়াতি এবং বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত লাল-হলুদ। ২০২৩-২৪ মরসুমে আর জাতীয় লিগে খেলতে পারবে না ইস্টবেঙ্গলের যুব দল। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) সিদ্ধান্তে অনূর্ধ্ব-১৭ আই-লিগ (Under 17 I-League 2023-24) থেকে নির্বাসিত করা হল ইস্টবেঙ্গলকে! ছোটদের লিগে এই বছর আর খেলতে না পারায়, গ্রুপের শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে চলে যাচ্ছে মোহনবাগান (Mohun Bagan)। ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারানো পয়েন্টও ফেরত পেয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। এর সঙ্গেই ইউনাইটেড স্পোর্টসের কাছে সুযোগ থাকছে জাতীয় স্তরে খেলার।
কেন নির্বাসনের খাঁড়া নেমে এল ইস্টবেঙ্গলের উপর? ছোটদের বিতর্কিত বড় ম্যাচে ০-৪ হারের পর মোহনবাগান জোড়া অভিযোগ এনেই নথিসহ চিঠি দিয়েছিল ফেডারেশনকে। এআইএফএফ-এর শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি এরপর মোহনবাগানের পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের ভিত্তিতে ইস্টবেঙ্গলেকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। লাল-হলুদের বেশ কয়েকজন ফুটবলারের নামেই অভিযোগ ছিল মোহনবাগানের। শুধু ইস্টবেঙ্গলই নয়, ক্লাবের হাফ ডজন ফুটবলারকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে ফেডারেশেন। জানা গিয়েছে নির্বাসিত ফুটবলারদের একজন নাকি অতীতে মোহনবাগানের হয়ে খেলেছে। দু’টো নামে সে রেজিস্ট্রেশন করেছিল! বয়স ভাঁড়ানো ব্য়াপারে অত্য়ন্ত কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ফেডারেশন। তাই রেয়াত করা হল না ইস্টবেঙ্গলকে। বয়স ভাঁড়ানোর একই অভিযোগে মুথুট ফুটবল অ্য়াকাডেমিও নিবার্সিত হয়েছে। তবে ইস্টবেঙ্গলের রাস্তা কিন্তু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে না। আগামী ১০ দিনের মধ্য়ে আপিল কমিটির কাছে আবেদন করতে পারবে ইস্টবেঙ্গল।