চলতি আর্থিক বর্ষের শুরুতে রিজার্ভ ব্যাংকের হিসেব বলেছিল দেশের আর্থিক বিকাশের হার থাকবে ৭.২ শতাংশ ৷ কিন্তু ছয় মাস যেতে না যেতেই অক্টোবর মাসের ঋণনীতি পর্যালোচনার সময় তা কমিয়ে করে ৬.১ শতাংশ৷ এবার স্টেট ব্যাংক তার সমীক্ষায় জানাল এই অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হার থাকবে ৫ শতাংশ৷ তাছাড়া এসবিআই সমীক্ষা রিপোর্ট আশংকা প্রকাশ করেছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার আরও কমে ৪.২% হতে পারে৷
এই পরিসংখ্যান ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের আর্থিক দুর্বস্থা ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে এবং খুব তাড়াতাড়ি সেই সংকট মেটার কোনও লক্ষণ নেই। সংকট এতোটাই এখন প্রকট যে রিজার্ভ ব্যাংকের টানা পাঁচবার সুদের হার কমিয়ে এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কর্পোরেট সংস্থাগুলির জন্য করের হার কমিয়ে এনেও তা সামাল দিতে পারছে না৷
দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি শিল্পে মন্দা তো ছিলই এবার বুনিয়াদি শিল্প ক্ষেত্রে উৎপাদন সংকোচন, নির্মাণ ও পরিকাঠামো শিল্প বিনিয়োগ কমে আসা ইত্যাদি কারণে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৪.২% নেমে আসতে পারে বলে আশংকা করেছে এসবিআই রিসার্চ রিপোর্টে৷ প্রসঙ্গত এ মাসেই জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকের জিডিপির সরকারি পরিসংখ্যান প্রকাশ হওয়ার কথা।
ইতিমধ্যেই এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বিশ্ব ব্যাংক এবং আইএমএফ, ওইসিডি সকলেই চলতি অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির অনুমান কমিয়ে ৬% করেছিল। স্টেট ব্যাংকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে ৩৩টি অর্থনৈতিক সূচক নিরন্তর লক্ষ্য করা হয় সেগুলি এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকে ৬৫% বেড়েছিল। কিন্তু, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে ওই হার কমে ২৭% হয়েছে।
তাছাড়া, অতিবৃষ্টির কারণে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, কর্নাটক ও পাঞ্জাব সহ একাধিক রাজ্যে খারিফ চাষে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে । এর প্রভাবে পড়বে কৃষিক্ষেত্রের বৃদ্ধির উপর। সবমিলিয়ে গোটা অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৫% হবে বলে অনুমান করা হয়েছে৷