ভারত মহাসাগরে নজরদারি আরও জোরদার করতে চাইছে নয়াদিল্লি। সেই ভাবনা থেকে লক্ষদ্বীপে নতুন নৌ ঘাঁটি তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সেখানে পাঠানো হচ্ছে রণতরী ‘জটায়ু’। এই জাহাজটি থেকে মলদ্বীপ সংলগ্ন সাগরে নজর রাখা হবে।
সরকারি সূত্র উল্লেখ করে ইন্ডিয়া টুডে দাবি করেছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই লক্ষদ্বীপে পৌঁছে যাবে ‘জটায়ু’। লক্ষদ্বীপের মিনিকয় দ্বীপে প্রাথমিক ভাবে রণতরীটিকে রাখা হবে। ওই অঞ্চলের সাগরে কী চলছে, তার উপর নজর রাখবে ‘জটায়ু’।
প্রাথমিক ভাবে ‘জটায়ু’তে হাতেগোনা কয়েক জন নৌ আধিকারিক এবং কর্মীকে পাঠানো হচ্ছে বলে খবর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিধি বৃদ্ধি পাবে। আগামী দিনে ‘জটায়ু’কে কেন্দ্র করে লক্ষদ্বীপে নতুন একটি নৌ ঘাঁটি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।
আগামী সপ্তাহে নৌ বাহিনীর কমান্ডারদের কনফারেন্স প্ল্যান অনুষ্ঠিত হবে আইএনএস বিক্রান্ত এবং আইএনএস বিক্রমাদিত্যের উপরে। সেখানেই লক্ষদ্বীপে আইএনএস ‘জটায়ু’কে কেন্দ্র করে নতুন ঘাঁটি তৈরি করা হবে। বঙ্গোপসাগরে নজরদারির জন্য আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে রয়েছে আইএনএস বাজ়। ‘জটায়ু’কে লক্ষদ্বীপে পাঠানো হলে আরব সাগরেও ভারতের নজরদারি তেমন জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। লক্ষদ্বীপে আপাতত রণতরী ছাড়াও বেশ কিছু হেলিকপ্টার পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নৌ সেনার। এমএইচ ৬০ কপ্টার সেখানে পাঠানো হবে।
মলদ্বীপে গত নভেম্বরে ক্ষমতায় এসেছেন ভারতবিরোধী শাসক মহম্মদ মুইজ্জু। তার পর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমের এই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হয়েছে। মুইজ্জু মলদ্বীপ থেকে ভারতকে সেনা সরিয়ে নিতে বলেছেন। তিনি চিনপন্থী শাসক হিসাবে পরিচিত। ক্ষমতায় আসার পর চিন সফরও সেরে ফেলেছেন। তাঁর আমলে ভারত মহাসাগরে চিনের আনাগোনা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মলদ্বীপ এবং চিনের যৌথ ক্রিয়াকলাপের মাঝেই লক্ষদ্বীপে নজরদারির ‘অস্ত্র’ পাঠাচ্ছে ভারত। যা সাগরে দিল্লির চিন্তা কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারবে।