রেলের জায়গা দখল করে খাবারের স্টল। মানবিকতার খাতিরে রোজগার কেড়ে নেয়নি রেল। দেওয়া হয়েছিল ক্রমিক সংখ্যাও। অথচ দিনের পর দিন সেই স্টলেই বিক্রি হচ্ছিল বাসি, নোংরা খাবার। অবশেষে ব্যান্ডেল স্টেশনে অভিযান পূর্ব রেলের।
এদিন ব্যান্ডেল স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি ভিজিল্যান্স চেক হয়। ভিজিল্যান্স ইন্সপেক্টর, মুখ্য টিকিট ইন্সপেক্টর, স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট এবং ব্যান্ডেল আরপিএফ-এর ইন্সপেক্টর উপস্থিত ছিলেন। দেখা যায়, ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রায় ১১টি স্টলে খাদ্যের নামে দিনের পর দিন অখাদ্য বিক্রি হচ্ছিল। পচে যাওয়া মটরের ঘুঘনি, বাসি নেতিয়ে যাওয়া বিস্কুট, জাল মিনারেল ওয়াটার। সেইসঙ্গে দাগ ধরা নষ্ট হয়ে যাওয়া ফল। এই ঘটনায় ব্যান্ডেল আরপিএফ-কে অনুমোদিত বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন এক বিক্রেতার থেকে ঘুঘনির নমুনা সংগ্রহ করে হাওড়া অর্থোপেডিক হাসপাতালে গুণমান পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, নমুনাটির মান মানুষের খাওয়ার জন্য নিরাপদ নয়। বিশেষত বয়স্ক এবং শিশুরা তা খেলে বিষক্রিয়া পর্যন্ত ঘটতে পারে। এরপরই প্ল্যাটফর্ম জুড়ে থাকা স্টলগুলিতে অভিযান চালানো হয়। তাদের অবিলম্বে প্ল্যাটফর্ম থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি যাত্রীদেরও খাবারের গুণমান যাচাই করে ও রেলওয়ে অনুমোদিত স্টল থেকে সঠিক ও ভালো পণ্য কেনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।