আগের দিন নিজের সন্তানকে খুন, পরদিন পোষ্য কু্কুরকে স্নেহ, মায়ের নির্মমতায় হতবাক কোন্নগরের বাসিন্দারা। এদিকে কোন্নগরে শিশু খুনে ধৃত মা শান্তা শর্মা ও তার বান্ধবী ইফফাত পারভিনের হয়ে কোনও আইনজীবী দাঁড়ালো না শ্রীরামপুর আদালতে। শিশুর বাবা পঙ্কজ শর্মা চাইলেন অভিযুক্তদের ফাঁসি। যে নৃশংস ভাবে ছেলেকে খুন করা হয়েছে তার জন্য সর্বোচ্চ সাজা চাইলেন তিনি।
কোন্নগরে শিশু খুনের ঘটনায় মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুর মা শান্তা শর্মা ও তার বান্ধবী ইফফাত পারভিন। নিজের মা তার সন্তানের খুনে অভিযুক্ত এই খবর জানার পর যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না শর্মাদের প্রতিবেশি থেকে আদর্শনগরের বাসিন্দরা। সম্পর্কের টানাপোড়েন, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে শীতলতা যাই হোক না কেন সন্তান খুন মেনে নিতে পারছেন না তারা। শিশু খুনের তদন্ত দোষীদের গ্রেফতার চেয়ে শান্তি মিছিল করেছিলেন এলাকাবাসী। পরিবারের কেউ এই খুনে যুক্ত থাকতে পারে তারা ভাবতে পারেননি।
তবে পুলিস তদন্ত শুরু করার পর পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ দেখে বুঝেছিল পরিচিত কেউ এই খুনে যুক্ত। ফিঙ্গার প্রিন্ট রক্তের নমুনা, ফোন কল রেকর্ড, টাওয়ার লোকেশন, সিসিটিভি ফুটেজে পুলিস অবশেষে নিশ্চিত হয়। শিশুর মা আর বান্ধবীকে বুধবার শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়। শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রিজন ভ্যানে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে শিশুর মা শান্তা শর্মা দাবি করেন, তিনি খুন করেননি। নিজের ছেলেকে কেউই খুন করতে পারে না বলেও দাবি করেন।
তাহলে কি তার বান্ধবী ইফফাত পারভিন খুন করেছেন সে প্রশ্নে তার উত্তর, জানি না। ঘটনার দিন বান্ধবী তার বাড়িতে এসেছিল।