মুখে অক্সিজেন মাস্ক। হাতে স্যালাইনের চ্যানেল। সেই অবস্থাতেও পরীক্ষা দিতে অনড় আয়েশা খাতুন। দিলেনও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের পদ্মেরহাট হাসপাতালে তিনি পরীক্ষা দেন। কার্যত একই দৃশ্য দেখা গেল জেলায় জেলায়।
জানা গিয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রে আসার পরেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন জয়নগর থানার অন্তর্গত হরিনারায়ণপুরের বাসিন্দা আয়েশা। সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ বারাসত শ্রীশ্রী সারদামণি বালিকা বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে নিয়ে যাওয়া হয় পদ্মেরহাট হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা তাঁর হাতে লাগান স্যালাইনের নল। মুখে দেওয়া হয় অক্সিজেন মাস্ক। এর পর কিছুটা সুস্থ বোধ করলে পরীক্ষা দেবেন বলে জানান দক্ষিণ বারাসতের ওই ছাত্রী। শেষ পর্যন্ত শিক্ষকদের তৎপরতায় অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়েই ‘সিক বেডে’ শুয়ে পরীক্ষা দেয় ওই ছাত্রী।
অন্য দিকে হাওড়াতেও পরীক্ষা দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই পরীক্ষার্থী। হাওড়ার যোগেশচন্দ্র গার্লস স্কুলে সিট পড়েছে জৈন বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী রিঙ্কি সিংহ এবং টুসি কুমারীর। বুধবার অ্যাকাউন্টেন্সি পরীক্ষা দিতে ঢুকেই অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারান দু’জন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পর জ্ঞান ফিরলে হাসপাতালেই তাঁদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের বেডে শুয়েই পরীক্ষা দেন তাঁরা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দুই ছাত্রীরই অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
একই দৃশ্য দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনাতেও। সেখানেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে বসেই পরীক্ষা দিলেন এক ছাত্রী। জানা গিয়েছে, হাবরা বিধানসভার বাউগাছি গার্লস হাই স্কুলের পরীক্ষার্থী শাবানা খাতুন মঙ্গলবার রাতে পেটে ব্যথা নিয়ে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সেই কারণে বুধবার এডুকেশন পরীক্ষা দিতে যেতে পারেননি বেড়গুম হাইস্কুলে। তাই হাসপাতালেই তাঁর পরীক্ষা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। তার পর পরীক্ষা দেন শাবানা।