চার দিনেই রাজকোট টেস্ট জিতেছে ভারত। ৪৩৪ রানে দুরমুশ করেছে ইংল্যান্ডকে। তবে দ্বিতীয় দিনের শেষে পরিস্থিতি এতটাও ভাল ছিল না। বরং বেন ডাকেটের দাপটে বেশ চাপেই ছিল ভারত। সেখান থেকে কী ভাবে চার দিনে জয় এল? ম্যাচের মোড় ঘোরানো সেই মুহূর্ত বেছে নিলেন রোহিত শর্মা।
তবে একটি মুহূর্ত বেছে নিতে পারেননি ভারতের অধিনায়ক। তাঁর মতে, একাধিক মুহূর্ত রয়েছে যা তাঁদের ম্যাচ জিতিয়েছে। রবিবার ম্যাচের পর রোহিত বলেছেন, “টসে জেতার পরেই কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলাম আমরা। জানতাম ভাল রান তুলতে পারলে সেটা আমাদের পক্ষে যাবে। পাশাপাশি, যে লিড পেয়েছিলাম সেটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের দাপটের পর যে ভাবে ম্যাচে ফিরে এলাম সেটাও মনে রাখার মতো। শান্ত থাকার দরকার ছিল।”
রোহিতের সংযোজন, “মনে রাখবেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলারকে আমরা পাইনি। কিন্তু বাকিদের নিয়ে আমি গর্বিত। দারুণ মানসিকতা দেখিয়েছে ওরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার আগেই বুঝে গিয়েছিলাম অর্ধেক কাজ হয়ে গিয়েছে। দু’জন তরুণ ব্যাটারের ইনিংস অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে আমাদের।”
দ্বিশতরানকারী যশস্বী জয়সওয়ালেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রোহিত। বলেছেন, “অনেক কথা বলেছি ওকে নিয়ে। সাজঘরের বাইরেও ওকে নিয়ে অনেকে কথা বলে। ওকে নিয়ে প্রচুর কথা বলতে চাই না। সবে কেরিয়ার শুরু করেছে। এখনও অনেক দূর যাওয়া বাকি।”
দ্বিতীয় দিন চাপে থাকার পর কী বার্তা দিয়েছিলেন দলকে? রোহিত বলেছেন, “টেস্ট খেলতে নামলে তো দু’-তিন দিনে খেলা শেষ করতে চাই না। পাঁচ দিনের মতো করেই ভাবি। ওরা ভাল শট খেলে আমাদের চাপে ফেলেছিল। কিন্তু আমাদের দলের বোলারেরাও ভাল। বাকিদের বলেছিলাম শান্ত থাকতে। তখন ওটাই দরকার ছিল। না হলে মনঃসংযোগ নষ্ট হতে পারে। তৃতীয় দিন নিজেদের পরিকল্পনা ঠিক রেখেছিলাম। তাতেই সাফল্য এসেছে।”
জাডেজাকে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করানোর প্রসঙ্গে রোহিত বলেছেন, “এই ম্যাচে জাডেজার অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাঁহাতি-ডান হাতি কম্বিনেশনও চাইছিলাম। সরফরাজ়কে নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। তবু ওকে ব্যাট করার আগে সময় দিতে চেয়েছিলাম। জানি ব্যাট হাতে ও কী করতে পারে।”