উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্ন বিক্রি হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে গ্রুপ বানিয়ে। বিক্রেতা হাতে লেখা বাংলা প্রশ্ন বেশ কয়েকজনের কাছে বিক্রি করার পর ইংরাজী সহ অন্যান্য বিষয়ের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র বিক্রির দরদাম করছে বলে অভিযোগ।
এমন সব বিস্ফোরক গ্রুপ চ্যাটের স্ক্রীন রেকর্ড সহ অভিযোগ জানাতে শনিবার রাতে রায়গঞ্জ থানার দারস্থ হয় কয়েকজন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তাদের অভিযোগ গ্রুপের নাম দেওয়া হয়েছে মাস্টার মাইন্ড। আর সেই মাস্টার মাইন্ডের দাবী তাকে পুলিস প্রশাসন কেউ আটকাতে পারবে না।
নিজেদের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এসে এই সব বিষ্ফোরক অভিযোগ করেছেন ওই অভিযোগকারীরা। তবে রায়গঞ্জ থানার আধিকারিকরা ওই অভিযোগকারীদের রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। সকলে স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা দিয়ে সুন্দর প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতার পরিচয় দিক এই দাবীতে শনিবার রাতেই রায়গঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দুরের সাইবার ক্রাইম থানাতে গিয়ে অভিযোগ জমা দেয় ওই অভিযোগকারীরা।
কয়েকজন নাবালিকা ছাত্রীকে অত রাতে রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম যেতে বলায় রায়গঞ্জ থানার পরামর্শ দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে রায়গঞ্জের নাগরিকদের মধ্যে।
পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের উচ্চমাধ্যমিকের জয়েন্ট কনভেনার ডঃ সুব্রত সাহাকে সাংবাদিকরা এই সব ঘটনা জানিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো পর্ষদকে বদনাম করার জন্য করা হচ্ছে’। পড়ুয়াদের পরীক্ষায় মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন তিনি। পাশাপাশি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে সবটা জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।