Urs Festival: ঐতিহ্যের উরস উৎসব! ২৫ বগির ট্রেনে ২৫০০ বাংলাদেশি ঢাকা থেকে মেদিনীপুরের মাটিতে…

২৫ টি বগি ২০৫৬ জন যাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ট্রেন প্রবেশ করল ভারতে। উদ্দেশ্য মেদিনীপুর শহরের বিখ্যাত উরস উৎসবে যোগ দেওয়া। বাংলাদেশ থেকে প্রায় আড়াই হাজার তীর্থযাত্রী বিশেষ ট্রেনে করে গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করল আজ সকালে। সেই বিশেষ ট্রেন গেদে পৌঁছল। ওই একই ট্রেনে চড়ে সন্ধেয় মেদিনীপুর পৌঁছে যাবেন তীর্থযাত্রীরা।

উরস উৎসব উপলক্ষে ঢাকা থেকে মেদিনীপুর বিশেষ ট্রেনের বন্দোবস্ত প্রথম হয়েছিল ১৯০৩ সালে। সেই রীতি আজও চলে আসছে। মোটামুটি শিশু-সহ প্রায় আড়াই হাজার তীর্থযাত্রী বাংলাদেশ থেকে যোগদান করতে আসেন এ উৎসবে। সুফি-সাধক হজরত সৈয়দ মুরশেদ আলি আলকাদেরি আল বাগদাদির স্মৃতিতে প্রতি বছর এই উরস উৎসব মেতে ওঠে মেদিনীপুর শহর। শুধু বাংলাদেশ নয় ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য জায়গা থেকেও বহু তীর্থযাত্রী এই সময় মেদিনীপুরে আসেন। 

সুফি সাধক হজরত সৈয়দ মুরশেদ আলি মওলা পাক নামে সুপরিচিত। লক্ষ লক্ষ ভক্ত এই নামেই তাঁকে মনে রেখেছেন। এই উরস উৎসব উপলক্ষে মেদিনীপুর শহরের জোড়া মসজিদে মেতে ওঠে আনন্দে। মওল পাকের বাসস্থান দায়রাপাকে ও সাধনাস্থল কাঁসাইনদীর তীরে অবস্থিত স্ত্রীগঞ্জ পাকে ভক্ত ও পুণ্যার্থীর ঢল নামে। 

এই উৎসবে যোগ দিতেই বাংলাদেশের ঢাকা, কুষ্টিয়া, খুলনার মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে পুণ্যার্থীরা বিশেষ ট্রেনে করে ভারতে আসেন। এবারও এসেছেন। ২৫ বগির ট্রেনে চড়ে এবার তাঁরা মেদিনীপুরে আসছেন। গেদে সীমান্তে এই ট্রেন দেখার জন্য স্থানীয়রা ভিড় করেন প্রতি বছরই। আজ সকাল ১০ টায় পৌঁছয় গেদে স্টেশনে, দুপুর ৩ টেতে ট্রেন গেদে ছেড়ে মেদিনীপুরের জন্য রওনা দেবে। ১৯ ফেব্রুায়রি এই উরস ট্রেন ফিরে যাবে বাংলাদেশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.