আইসিইউতে সুকান্ত, স্যালাইন চলছে, দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল, শুভেন্দু , শমীক, খোঁজ নিলেন নাড্ডা

বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অসুস্থ। মঙ্গলবার থেকে বসিরহাটে ছিলেন তিনি । সন্দেশখালিকাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে দফায় দফায় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তিনি। তাকে বার বার সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে বুধবার পুলিশের গাড়ির উঠতে বাধ্য হন। সেই সময় হঠাৎই অচেতন হয়ে পড়েন। সেখান থেকে তাকে প্রথমে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সুকান্তবাবুকে ভর্তি করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও বিরোধী বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বমি ভাব রয়েছে সুকান্তবাবুর তবে বিশ্রাম নিলে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবেন তিনি। শুভেন্দু জানিয়েছেন, বর্তমানে সুকান্ত মজুমদার আই সি ইউ তে রয়েছেন বুকে, পাঁজরে, কোমরে ব্যথা আছে। বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, সুকান্তবাবু স্যালাইন ছাড়া কিছু নিতে পারেননি। তার কথায়, “আমাদের ইয়াং লিডার জলদি সুস্থ হবেন ওঁনার ১০-১২ ঘন্টা বিশ্রাম দরকার। হাসপাতালের উপর ভরসা আছে সব ঠিক হয়ে যাবে।” এর পাশাপাশি তিনি অনুরোধ করেছেন বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার আগে কেউ যেনো দেখা করতে না আসেন, কারণ বিজেপি সাংসদের এখন রেস্টের প্রয়োজন।

এর আগে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আঘাত কতটা গভীর সেটা দেখার জন্য সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। বুকে, পাঁজরে কোমরে চোট রয়েছে ট্রমাটাইজ আছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে কয়েকবার বমি করেছেন। গতকালই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ফোন করে সুকান্তবাবুর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন।

সন্দেশখালির ঘটনায় বিজেপি নেতা রাকেশ সিং গ্রেপ্তার হওয়ার প্রতিবাদে এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সেই অনুযায়ী, মঙ্গলবার বসিরহাটে এসপি অফিসে পৌঁছন তিনি। সেখানে সারারাত বিক্ষোভ কর্মসূচির পর বুধবারে পথে নামেন বিজেপি নেতা। পুলিশ তাঁকে বাধা দিলে ধস্তাধস্তি হয়। এরপর পুলিশের গাড়ির উপরে উঠে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তিনি। অভিযোগ সেই সময় ইচ্ছে করে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়। আর তাতে কার্যত পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয় বিজেপি রাজ্য সভাপতির। আশেপাশে থাকা কর্মী সমর্থকরা তাকে ধরে ফেলেন। নাহলে আরো বড় বিপদ হতে পারত। ঘটনাস্থলে জ্ঞান হারান সুকান্ত মজুমদার।

পুলিশের বিরুদ্ধে সেই সময় অসুস্থ সুকান্তবাবুকে প্রাথমিক চিকিৎসা করতে সহযোগিতা না করারও অভিযোগ উঠেছে। এরপর তাকে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে পরে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। যানা গেছে বসিরহাট থেকে কলকাতায় আসার পথে তিনি একবারও চোখ খোলেননি। অক্সিজেন দিয়ে তাকে এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.