কলাইকুণ্ডা এয়ারবেসে বায়ুসেনার প্রশিক্ষণ চলাকালীন খড়্গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত মুরকুনিয়া গ্রামে ভেঙে পড়ল যুদ্ধবিমান। প্যারাসুটের মাধ্যমে নেমে প্রাণে বাঁচেন এয়ার ফোর্সের দুই পাইলট।
মঙ্গলবার দুপুর আনুমানিক ৩ টা ৩৫ নাগাদ মুরকুনিয়া গ্রামের একটি ধানজমিতে যুদ্ধবিমানটি পড়ে যায়। বিকট শব্দে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয় এলাকায়। ঘটনাস্থলে কিছু ক্ষণের মধ্যেই কলাইকুণ্ডা এয়ারবেস থেকে বায়ুসেনার অফিসাররা হেলিকপ্টারে অকুস্থলে পৌঁছোন।
স্থানীয় বাসিন্দা শীতল সিং বলেন, ‘‘দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে বাইরে বেরিয়ে আসি। দেখি, যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়েছে। প্যারাশুট দিয়ে দু’জন পাইলট নেমেছেন, তাঁদের কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না তা বলতে পারছি না।’’
সোমবার সাঁকরাইল ব্লকের কেশিয়াপাতা এলাকার পেঁচাবিদা ও চেমটিডাঙা গ্রামের পিচ রাস্তার পাশে দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ধানজমিতে একটি বোমা পড়ে। কেঁপে ওঠে চারিদিক। তীব্র শব্দ শুনে গ্রামবাসীরা ভিড় জমান। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সকলকে আসতে বাধা দেয় তারা। বায়ুসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার তাদের মহড়া চলছিল। ফায়ারিং রেঞ্জ অনেকটা বড়। যেখানে বোমটি পড়েছে সেটি ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যেই। তাই হতাহত হননি কেউ। তবে, গ্রামবাসীদের অনেকের ধান পুড়ে যায়। এই ঘটনার পরের দিনই খড়্গপুরের ধানক্ষেতে ভেঙে পড়ল আস্ত যুদ্ধবিমান।
এক্স হ্যান্ডলে ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, ‘ভারতীয় বায়ুসেনার একটি হক ১৩২ প্রশিক্ষণ বিমান আজ (মঙ্গলবার) পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুণ্ডায় প্রশিক্ষণের সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। দুই পাইলটই নিরাপদে বার হয়ে যান। দুর্ঘটনার কারণ জানতে একটি ‘কোর্ট অব ইনকোয়ারি’ গঠন করা হয়েছে। প্রাণহানি বা আসামরিক সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হয়নি।” কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। সম্পত্তিও নষ্ট হয়নি।
যে বিমানটি খড়্গপুরে ভেঙে পড়েছে, সেটি ‘হক ট্রেনিং এয়ারক্রাফ্ট’ বলে জানা গিয়েছে। এটি সুপারসনিক যুদ্ধবিমান। ব্রিটিশ সংস্থার তৈরি ওই বিমান ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজেও ব্যবহৃত হয়।