সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেও বার বার ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন। তার মধ্যে একেবারে নয়াদিল্লিতে বসে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনাকে একবারে জাতীয় স্তরে তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, সন্দেশখালিতে মহিলাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর ইশারাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুন্ডারা হিন্দু পরিবারের অল্পবয়সী বধূদের ধর্ষণ করছে। আর স্মৃতি ইরানির এই অভিযোগ গোটা ঘটনাকে একেবারে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক দাবি করেছেন স্মৃতি ইরানি। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুদের গণহত্যার জন্য পরিচিত। তিনি এখন দলের ছেলেদের অনুমতি দিয়েছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তৃণমূলের গুন্ডারা দেখে আসে কাদের বাড়ির মেয়ে সুন্দরী, কোন মেয়েদের বয়স কম, তাদের তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে রাতের পর রাত ধর্ষণ করা হোক। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হোক শেখ শাহজাহান কোথায়?
স্মৃতি ইরানি দাবি করেছেন, সংবাদমাধ্যমের কাছে সন্দেশখালির মহিলারা এই সমস্ত অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, যতক্ষণ না তৃণমূলের গুন্ডাদের মন ভরবে ততক্ষণ ওই মহিলাদের রেহাই নেই। হিন্দু পরিবারের মেয়েদের ধর্ষণের জন্য চিহ্নিত করা হতো বলে অভিযোগ। এরা সকলেই ছিলেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের লোক।
তপশিলি জাতি, উপজাতি, মৎস্যজীবী, কৃষক পরিবারের মহিলাদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সরব হয়েছেন স্মৃতি ইরানি। তাঁর কথায় আমরা নাগরিকরা সবকিছু দেখে চুপ করে থাকবো। এই ব্যক্তি যে কিনা বিপুল পরিমাণ মহিলাদের ধর্ষণ করেছে। হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের চিহ্নিত করেই এই ধর্ষণের কাজ করা হয়েছে, স্থানীয় মহিলারা সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, সন্দেশখালির হিন্দু পরিবারের বিবাহিত মহিলারা এতদিন ধরে অত্যাচারের কথা বলার চেষ্টা করেছিলেন। মহিলারা বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা পুলিশের সামনেই ঘটেছে। রাজ্যপাল সংবিধান মেনে যা ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি নেবেন।প্রশ্ন করুন কোথায় শেখ শাহজাহান? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজ সন্দেশখালিতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও মহিলাদের মুখে তাদের উপর দিনের পর দিন হয়ে চলা অত্যাচারের কথা শুনেছেন।