সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। কত দিন আগের কথা? তা প্রায় ধরুন পাঁচশো তো হবে। সেই সময় সুবিস্তীর্ণ ভারতের উত্তর পশ্চিম দিকে পাঞ্জাবে তলবন্দী গ্রামে কালু নামক একজন ক্ষত্রিয় ব্যাবসা-বাণিজ্য করে কালাতিপাত। আরে অনেকেই তো সেই ব্যবসায়ী ছিল ওই সময়….তাতে কি? আরে দাঁড়ান বলি গল্পটা…
সেই কালুর এক পুত্র ছিল। তাঁর নাম নানক। ছোট থেকেই সে কেমন ভাবে ভোলা হয়ে কেবল ঠাকুর ঠাকুর করত। গাঁয়ের লোকেরা কালু কে ডেকে ছেলের চিকিৎসার কথা বলত। ভাবত ছেলে পাগল হয়েছে। এই ভাবে দিন কাটল। নানক আর সেই ছোটট্টি নেই।। শৈশব ছেড়ে কৈশোরে পা দিয়েছে।
নানকের বাবা কালুর ব্যবসাটি বেশ জমজমাট ছিল। এখন কোথায় সে বাপের ব্যাবসা-বাণিজ্যে সাহায্য করবে তা নয়– সে আপনার ভাবনা নিয়ে দিন কাটায়। বাপের মন টাকার দিকে তো ব্যাটার মন ধর্মের দিকে। সেই দৈত্য কুলে প্রল্লাদ বা বলি রাজার মত অবস্থা। ছেলের দুর্দশার কথা ভেবে বৈষয়িক বাবার ঘুম হত না।
ছেলে বড় হলে ছেলের কিছু হবে না একথা কালু ভাবলেও , ধীরে ধীরে গাঁয়ের লোকের মত পরিবর্তিত হয়।কারণ, নানকের ধর্মে মন থাকাতে পাড়ার লোকের বাণিজ্য-ব্যাবসার বিশেষ ক্ষতি হয় নি। বোধয় তারা, নানকের চেহারা, নানকের ভাব দেখে আশ্চর্য হত।
একদিন লোকে দেখল , নানক গরু চড়াতে গিয়ে ঘুমায় আর একটা কুৎ কুতে কালো সাপ তাকে ঘিরে বসে থাকে। ওই সময় নাকি সে দেশের রাজা এটি দেখেন। যাক গিয়ে এমন উপকারী সাপ হয় বলে শুনিনি।
কালু একদিন ঠিক করেই ফেলল যে ছেলেকে ব্যবসায় বসাবেই। নানক কে কিছু পয়সা দিয়ে বলল, এক গ্রামে নুন কিনে অন্য গ্রামে বেচে আসতে। নানক তার বাল্য বন্ধু বালসিন্ধুকে নিয়ে নুন কিনতে গেল। যদিও বালসিন্ধু নানকের গৃহে চাকর ছিল তবুও নানক তাকে বন্ধু ব্যতীত অন্য কিছু দেখে নি। নুন কিনতে গিয়ে তাঁরা কিছু সন্ন্যাসী দেখতে পেল।।
নানক গিয়ে তাদের কাছে বসে পড়ল। সন্ন্যাসীরা ঠাকুরের নাম গান করবার পর কালু তাদের টাকা দিতে গেল। সন্ন্যাসী রা টাকা নিল না। তারা খাদ্য ভিক্ষা করল। তারা তিন দিন কিছুই খায় নি। নানক ভাবল কাঞ্চন রঙ্গ আর কত দিনের মায়া? তার থেকে এই মানুষ গুলিকে খাবার দিলে তারা উপকৃত হবে।
ব্যবসার সব টাকা দিয়ে কালুর ব্যাটা সন্ন্যাসীদের খাবার খাইয়ে বাড়ি ফিরল। কালু বৈষয়িক। বাড়ি ফিরতেই বাপ ছেলের নিকট পয়সার হিসাব চায়। ছেলে বলে সে সব টাকা দিয়ে সন্ন্যাসী গরিব দের খাইয়েচে। বাপ কালু রেগে নানক কে মারতে শুরু করে।
ওই সময় রাজা যাচ্চিল পথ দিয়ে।কালু অতো বড় ছেলেকে পেটায় দেখে রাজা ঘরে ঢুকে কালু বকা দিল।
কালু তখন নানককে জয়রামের কাছে পাঠাল। জয়রাম নানকের ভায়রা ভাই ছিল। দৌলত খাঁ র ফসলের গোলার দায় ছিল জয়রাম দের উপরে। নানক সেখানে কাজ করত। কিন্তু সুলতান পুরের লোকজন তার ঠাকুরের কথা শোনার জন্য ভিড় করত। তাকে বড় ভালোবাসত।
একদিন এক সন্ন্যাসী এসে নানক কে বলল, নানক ধন উপার্জন তোমার জন্য নয়…তুমি ধর্ম উপার্জন কর।…নানক কাজ ছেড়ে এক রাতে পালাল। কিন্তু যারা তাকে ভালবাসত তারাও তার সঙ্গ নিল। তার মধ্যে একজন ছিলেন মরদানা । সেই মরদানা ভালো গান করতে পারতে, বীণা বাজাতে পারতেন । আর এক ব্যক্তি তাঁর নাম লেনা । তিনিও সঙ্গী হলেন নানকের। আর সেই সে ব্যক্তি বীণা বাজাইত, গান গাহিত। লেনা তাঁহার সঙ্গে গেল। সেই-যে পুরানো চাকর বালসিন্ধু ছেলেবেলায় নানকের সঙ্গে নুন কিনতে গেছিল সেও নানকের সঙ্গ নিল।
বালসিন্ধু সেদিন নানকের সঙ্গে নুন কিনে বিক্রয় করতে গেছিল কিছু ধন উপার্জনের আশায়। আজও সে নানকের সঙ্গ নিল কিছু উপার্জনের আশায়। কিন্তু এ ধন সম্পদ সেই সম্পদ নয়। সে সম্পদ সকলের শ্রেষ্ঠ সম্পদ সে সম্পদ হল ধর্ম। আর গেল রামদাস।সে বুড়ো হয়ে হয়েছিল। এমন আরো লোক গেল।
নানক নিজের সাধ্যমত সকলের উপকার করে যেতে লাগলেন।ধর্মপদেশ দিয়ে দেশ হতে দেশান্তরে ঘুরতে লাগলেন। সকলে তাঁকে ভালোবাসতেন। ভক্তি করতেন।
নানক দেশে দেশে ঘোরে। সাধু সঙ্গ করে। ধর্মের কথা শোনে। ধর্মকে বোঝে । ধর্ম কে মানুষের মধ্যে ছড়ায়।।
নানক নিজেকে মস্ত লোক প্রমান করে নি। সে ভালোবাসতে যেমন শিখিয়ে ছিল আবার আত্ম রক্ষা করতেও উপদেশ দিয়ে ছিল। তার কাছে জগৎ জুড়ে কেবল ঈশ্বর ছিল। তাই সে ঈশ্বরকে আপন করে ছিল। তাকে সিংহাসনে বসিয়ে দূরে করেন নি। মানুষের কাছে সে লৌকিক হয়ে বেঁচে ছিল। অলৌকিক নয়।
কালু তার জীবনের ব্যবসায় লাভ করলেও ধর্মে লাভ করে নি। নানক তার কিন্তু সব কিছুতেই জিতে গেছিল।আজ যে শিখ জাতি (মার্গ) , যাদের বিশাল আকৃতি, মহৎ মুখশ্রী, বিপুল বল, অসীম সাহস এর জন্য আশ্চর্য বোধ হয়, এই শিখ নানকের শিষ্য।
নানকের পূর্বে এই শিখ মার্গ ছিল না। নানকের মহৎ ভাব ও ধর্মবল এমন একটি মার্গ উৎপন্ন করেছে।। নানকের ধর্মশিক্ষার প্রভাবেই এদের হৃদয়ে তেজ বেড়েছে, শির উন্নত , চরিত্রে ও মুখে মহৎ ভাব এসেছে।
একবিংশ শতাব্দীতে, মানুষ বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতির কারণে তাদের জীবনে অভূতপূর্ব সুযোগের সঙ্গে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে চেলেছেন। পৃথিবীর প্রতিটি সভ্যতায় নৈতিক ও অনৈতিক, মূল্যবোধের সংকট রয়েছে। একজন মানুষের দ্বারা অপর মানুষের শোষণ, ধর্মীয় সন্ত্রাস, বর্ণবাদ, সামাজিক উদাসীনতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং দুর্নীতি আজ আমাদের যে অনেক সামাজিক দুর্বিপাকের মধ্যে অবনমিত করেছে।
একথা সত্য যে গুরু নানক জী আজকের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না। হয়ত আজকে প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ বা দর্শনিকদের মত চেনা বাঁধা ছন্দে হাঁটেন নি। কিন্তু তিনি সমগ্র জগৎ সংসারকে এক অমূল্য শিক্ষা দান করেছেন। সেই শিক্ষাই আজ এই জগৎ সংসার ও সামাজিক ব্যবস্থাপনায় বড় জরুরি হয়ে পড়েছে।
গুরু নানক শিক্ষার জন্য বিদ্যা শব্দটি ব্যবহার করেছেন। বিদ্যা যা সীমাহীন এবং অবিরাম, তবে দেহ, মন ও আত্মার জ্ঞানার্জনের মূল উপাদান।
বিদ্যা দদাতি বিনয়ং
বিনয়ং দদাতি পাত্রত্তাম
পাত্রত্তাঃ ধনমাপ্নতি
ধনাৎ ধর্মঃ ততোঃ সুখম
ভালো ব্যবহারই ঈশ্বর ভক্তির প্রধান পাথেয়” ৫৫০ বছর আগে ভক্তদের একথাই শিখিয়েছিলেন প্রথম শিখ ধর্মগুরু (first Sikh master) গুরু নানক। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তাঁর ৫৫০তম জন্মজয়ন্তী (550th Prakash Parv)। তাঁর শেখানো পথ এবং মতকে সামনে রেখেই এই বিশেষ দিন সাড়ম্বরে পালন করবে গোটা দেশ। একই সঙ্গে জপবে তাঁর দেওয়া বীজমন্ত্র, নাম জপ ঈশ্বরের, মন দিয়ে নিজের দায়িত্ব পালন কর এবং সব ভালো সবার সঙ্গে ভাগ করে নাও।
গুরু নানক তাঁর সময়ে লঙ্গরের প্রচলন করেছিলেন। সেখানে সব ধর্মের, সব গোত্রের, সব লিঙ্গের, সমাজের সর্ব স্তরের মানুষেরা পাশাপাশি বসে আহার করেন। দ্বিতীয় শিখগুরু অঙ্গদ দেবের সময় থেকে লঙ্গরে মাংসের ব্যবহার বাতিল করা হয়। তখন থেকে লঙ্গরে নিরামিষ আহার বিতরণ শুরু হয়। ঐতিহাসিকদের মতে বৈষ্ণবদেরকে সম্পৃক্ত করার জন্যই এই ব্যবস্থার প্রচলন করা হয়। বর্তমানে প্রতিটি গুরদুয়ারায়ই লঙ্গরের ব্যবস্থা আছে।
১৫০২ খ্রিষ্টাব্দে লাহোর থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে জি টি রোডের ধারে এক প্রকাণ্ড জলাশয়ের ধারে, গুরুনানক একটি মন্দির গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। এই সময় তিনি এই জলাশয়ের নাম রাখেন অমৃত সায়র। তার থেকেই শহরের নাম হয় অমৃতসর। গুরু নানক জীবদ্দশায় তাঁর এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় নি। ১৫৮৮ খ্রিষ্টাব্দে শিখ গুরু অর্জুন সিং অমৃত সায়র-এর ধারে স্বর্ণ মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ধারণা করা হয়, অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির বা হরিমন্দিরে প্রতিদিন ১ লক্ষ লোককে খাবার দেওয়া হয়। বিভিন্ন মানুষের দানেই এই লঙ্গর চলে। এই লঙ্গরকে বলে, ‘গুরু কা লঙ্গর’। আর যাঁদের স্বেচ্ছাশ্রমে এই লঙ্গরগুলো চলে, তাঁদেরকে বলা হয় ‘সেবাদার’।
নানকজী কিন্তু জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে নিজের কাছে টেনে নিতেন, তাঁর কাছে সবাই ছিল সমান | তিনি কিন্তু এক ওঙ্কার অর্থাৎ এক ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী ছিলেন | মূর্তি পূজা বা একাধিক ঈশ্বরবাদে তিনি বিশ্বাসী ছিলেন না |
ধনী দরিদ্র প্রত্যেকে এসে তাঁর কাছ থেকে জীবনের অমূল্য শিক্ষাগুলি নিয়ে যেত, এবং এরফলে তাদের প্রত্যেকের জীবন নানকজীর কৃপায় ধন্য হয়েও উঠেছিল |
তিনি তাঁর অনুগামীদের, জীবন ও ঈশ্বর কেন্দ্রিক কিছু বিশেষ উপদেশ দিতেন, যা আজও আমাদের প্রত্যেকের কাছে অমূল্য রত্নের ন্যায় সমান হতে পারে |
“আমাদের কখনই, কারোর অধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত নয়” – Guru Nanak
“ঈশ্বর সর্বত্র বিদ্যমান আছেন, আমাদের সকলের পিতা একমাত্র তিনিই | এইজন্য আমাদের সবার সাথে প্রেমপূর্বক থাকা উচিত” – Guru Nanak
“নিজের বাহুবলের মাধ্যমে পরিশ্রম করে, লোভকে ত্যাগ করে আমাদের সঠিকভাবে অর্থ উপার্জন করা উচিত” – Guru Nanak
“যদি কারোর অর্থের বা কোনো অন্য কিছু সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাদের কখনই পিছপা হওয়া উচিত নয়” – Guru Nanak
“সর্বদা ঈশ্বরের উপাসনা করো” – Guru Nanak
“আমার জন্মই হয়নি, তাহলে আমার জন্ম কিংবা মৃত্যু কিভাবে হবে” – Guru Nanak
“দুনিয়ায় কোনো ব্যক্তিরই ভ্রান্তভাবে থাকা উচিত নয়, গুরুর সাহায্য ছাড়া কেউই অপর প্রান্তে পৌছাতে পারবেনা” – Guru Nanak
“ঈশ্বরের জন্য খুশির গান গাও, প্রভুর নামের সেবা করো এবং তাঁর সেবকের সেবক হয়ে যাও” – Guru Nanak
“নিজের উপার্জনের দশ ভাগের একভাগ, পরের উপকারের জন্য এবং নিজের সময়ের দশ ভাগের একভাগ, প্রভুর কীর্তন অথবা ঈশ্বর ভক্তিতে আমাদের দেওয়া দরকার” – Guru Nanak
“ধনকে পকেটেই স্থান দেওয়া দরকার, নিজের হৃদয়ে নয়” – Guru Nanak
“আমাদের স্ত্রী জাতির আদর করা উচিত” – Guru Nanak
“চিন্তামুক্ত থেকে আমাদের কর্ম করা উচিত” – Guru Nanak
“সংসারকে জয় করার আগে, নিজের বিচারগুলির উপর বিজয়প্রাপ্ত করা অত্যন্ত জরুরি” – Guru Nanak
“অহংকার মানুষকে মানুষের মত থাকতে দেয়না, তাই আমাদের অহংকার কখনই করা উচিত নয় | বিনম্রভাবে, সেবা করার ভাবনার দ্বারা আমাদের জীবন অতিবাহিত করা উচিত” – Guru Nanak
“ভগবান এক কিন্তু তাঁর রূপ বিভিন্ন | সে সবারই নির্মান করেন এবং নিজেও মানুষ রূপে জন্মগ্রহণ করেন” – Guru Nanak
“কেউ তাঁকে (ঈশ্বর) তর্কের মাধ্যমে কখনই বুঝতে পারবেন না, এমনকি সে যদি যুগ যুগ ধরেও তর্ক করতে থাকে” – Guru Nanak
“বন্ধুরা, আমরা কখনই মৃত্যুকে খারাপ বলতাম না যদি আমরা জানতাম যে, বাস্তবে মরে কিভাবে যাওয়া যায়” – Guru Nanak
“তোঁর হাজারও চোখ আছে তবুও একটি চোখও নেই, তোঁর হাজারও রূপ আছে তবুও একটি রূপও নেই” – Guru Nanak
“ধন-সমৃদ্ধি সম্পন্ন বড় বড় রাজ্যের রাজা মহারাজারো তুলোনা ওই ছোট পিপড়ের সাথে করা যায়না, যার মধ্যে ঈশ্বরের প্রেম ভরে আছে” – Guru Nanak
“পার্থিব ভালবাসাকে পোড়ান, নিজের ছাইকে ঘষুন এবং সেটার কালি বানান, নিজের হৃদয়কে কলম তৈরি করুন, নিজের বুদ্ধিকে লেখক বানান এবং সেটিই লিখুন যার কোনোও শেষ নেই আর যার কোনো সীমা নেই” – Guru Nanak
“যার নিজের উপর বিশ্বাস নেই, সে কখনই ভগবানের উপর বিশ্বাস করবেনা” – Guru Nanak
“শান্তিতে নিজের ঘরে নিজের বিচার করুন, তাহলে আপনাকে মৃত্যুর দূতও ছুঁতে পারবেনা” – Guru Nanak
“এই পৃথিবী একটি নাট্টমঞ্চ, যেটিকে একটি স্বপ্নের মাধ্যমে উপস্থাপিত করা হয়” – Guru Nanak
“যেইসব মানুষ; যাদের মধ্যে ভালোবাসা আছে, তারা সেইসব মানুষদের মধ্যে একজন যারা ঈশ্বরকে খুঁজে পেয়েছেন” – Guru Nanak
“শুধুমাত্র সেটাই বলুন, যেই শব্দগুলি আপনাকে সম্মানিত করে” – Guru Nanak
“না আমি পুরুষ, না আমি মহিলা বা না আমি নপুংসক | আমি কেবল একজন শান্তির বাহক যার মধ্যে অপার আত্মবিশ্বাস, সাহস এবং অনন্ত জ্যোতি বিরাজমান” – Guru Nanak
“এই সমগ্র বিশ্ব কঠিনতার মধ্যে আছে, যার নিজের প্রতি আস্থা আছে সেই এখানে একমাত্র বিজয়ী হতে পারবে” – Guru Nanak
“আপনি চাইলে যেকোনো ধরনের বীজ বপন করুন, সেটিকে সঠিক আবহাওয়ার মধ্যেই প্রস্তুত করা প্রয়োজন | যদি আপনি ধ্যানপূর্বক সেটির অবস্থানকে লক্ষ্য করেন তাহলে আপনি এটা জানতে পারবেন যে, বীজের গুনই সেটিকে উপরে নিয়ে আসে” – Guru Nanak।