মরসুমের শেষে এসে আবারও নতুন ওপেনার খেলানোর সিদ্ধান্ত নিল বাংলা। শুক্রবার কেরলের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে অভিমন্যু ঈশ্বরনের সঙ্গে ওপেনার হিসেবে দেখা যেতে পারে রণজ্যোৎ সিংহ খাইরাকে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে শুক্রবারই অভিষেক হতে চলেছে ২৫ বছরের তরুণের। এত দিন অভিমন্যু না থাকায় দুই বাঁ-হাতি ওপেনার সৌরভ পাল এবং শ্রেয়াংস ঘোষের উপরে ভরসা রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা বড় কিছু করে দেখাতে পারেননি। অভিমন্যু ফিরতেই তাঁর সঙ্গে আক্রমণাত্মক ওপেনার খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা।
রণজ্যোৎ আক্রমণাত্মক ক্রিকেটার। দ্রুত রান করার ক্ষমতা রয়েছে তাঁর। বাংলার সামনে শেষ দু’ম্যাচই মরণ-বাঁচন। পয়েন্ট নষ্ট করার কোনও জায়গাই নেই। এসপার-ওসপার ম্যাচে তাই শুরু থেকেই আক্রমণ করতে চাইছে বাংলা।
তিরুঅনন্তপুরমের পিচ ঘূর্ণি-সহায়ক। করণ লাল, শাহবাজ় আহমেদের পাশাপাশি দলে ফেরানো হতে পারে অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিককে। ব্যাট হাতেও পার্থক্য গড়তে পারেন প্রদীপ্ত। অঙ্কিত মিশ্রর সঙ্গে দৌড়ে তাঁকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছে। অবশ্য শুক্রবার সকালেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, স্পিনার হিসেবে কে সুযোগ পাচ্ছেন।
জলজ সাক্সেনাদের বিরুদ্ধে টস যে বড় ভূমিকা পালন করবে তা মানছেন দলের কেউ কেউ। যে দল প্রথমে ব্যাট করবে, তারা কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে ম্যাচে। কারণ, ঘূর্ণি পিচে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করা, কোনও দলের পক্ষেই সহজ নয়।
বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী ক্রিকেটারদের চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করছেন। সব চেয়ে বেশি পয়েন্ট নিয়ে বাংলার জেতার পরিস্থিতি তৈরি হলেও তাঁর বার্তা, ‘‘ক্রিকেট উপভোগ করুক। ভাল ক্রিকেট উপহার দেওয়ার লক্ষ্যেই আমরা মাঠে নামব।’’ যোগ করেন, ‘‘ম্যাচ জেতার লক্ষ্যই থাকবে। আমরা চেষ্টা করব প্রত্যেকটি দিন ভাল ক্রিকেট খেলার। তবেই ম্যাচের শেষে পর্যাপ্ত পয়েন্টও আসবে।’’
ওপেনার হিসেবে হঠাৎ রণজ্যোৎকে কেন দেখা হচ্ছে? সৌরাশিসের উত্তর, ‘‘ও দ্রুত রান করতে পারে। ভয়ডরহীন ক্রিকেটার। নিজের উইকেট নিয়ে ভাবে না। ম্যাচের শুরুটা ইতিবাচক করতে হবে। তাই রণজ্যোতের কথা ভাবা হয়েছে।’’