Chinsurah: ‘এতই যখন জানেন, নার্সিং পড়ে নিন’! কর্তব্যরত নার্সকে অপমান বিধায়কের, বিক্ষোভ হাসপাতালে

 ২ রা ফেব্রুয়ারী রাতে হাসপাতালেরর ফিমেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স বন্দনা দত্তগুপ্ত অভিযোগ তোলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার দলবল নিয়ে তাঁকে অপমান করেন। এমনকী ওই নার্সকে ধমকও দেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই হাসপাতাল সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মীরা। নার্সেস ইউনিটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় বিধায়কে ক্ষমা চাইতে হবে। নার্সের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না এবং হাসপাতাল থেকে আয়া সরাতে হবে।

রোগী নার্সের অনুপাত ঠিক করতে হবে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে, বিক্ষোভে এমন দাবিও করা হয়েছে। সুপার অমিতাভ মণ্ডল জানান, তিনি এই দাবি সিএমওএইচ-এর কাছে পাঠিয়ে দেবেন। নার্সেস ইউনিটের রাজ্য সম্পাদক ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় বলেন, সরকারি হাসপাতালে আয়া বলে কিছু নেই। সেদিন ওই নার্সিং স্টাফের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। রোগীর বাড়ির লোক যেটা বললেন সেটা সত্যি হয়ে গেল। আর নার্স যেটা বলল সেটা মিথ্যা।

অভিযোগ, রোগীর বাড়ির লোক বলছে আয়া রাখতে বলেছে নার্স। কিন্তু নার্স বলেছে রোগীর মাথা ঘুরছিল। ওয়াশরুমে যেতে চাইছিলেন তাই স্যালাইন খুলে দেওয়া হয়েছে। রোগী পরিষেরা কিভাবে দিতে হয় বিধায়কের সঙ্গে আসা কাউন্সিলররা বোঝাচ্ছিলেন। এতই যখন জানেন, নার্সিং পড়ে নিন। এখন নার্সিং পরার কোনও বয়স নেই। আর যখন তখন দলবল ঢুকে পরবে হাসপাতালে নার্সদের নিরাপত্তা কোথায়?

তাদের দাবি, আমরা বলেছি আগে হাসপাতালের পরিকাঠামো ঠিক করুন। চিকিৎসা দেওয়ার সুস্থ পরিবেশ রাখুন। একটা বেডে চারজন মা থাকছে, রোগীদের বেড দেওয়া যাচ্ছে না এগুলো দেখুন। আর একজন নার্স যদি কোনও ভুল করেন তাকে শোকজ করতে হবে। তদন্ত হবে। তা না করে দোষী করে দেওয়া হল। এমনটা হতে পারে না। যদিও সুপার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। তাই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারীক মৃগাঙ্ক মৌলি করের সঙ্গে কথা বলতে যান নার্সিং স্টাফরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.