ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের মামলায় এখনই হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। মামলাটি ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে ফেরত পাঠানো হয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, হেমন্তকে আগে হাই কোর্টে আবেদন জানাতে হবে। উচ্চ আদালতের এক্তিয়ার লঙ্ঘন করবে না সুপ্রিম কোর্ট।
গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তিন বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিলেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। এ ছাড়া, ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, হাই কোর্টে আগে আবেদন জানাতে হবে হেমন্তকে। হাই কোর্টের এক্তিয়ার শীর্ষ আদালত লঙ্ঘন করবে না। হাই কোর্টের নির্দেশের পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা যাবে।
হেমন্ত সোরেনের আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে জানান, হাই কোর্টে এর আগে একটি আবেদন করা হয়েছিল। পরে সেই মামলা প্রত্যাহার করা হয়। সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার যুক্তিও দিয়েছেন তিনি। হেমন্তের তরফে আইনজীবীর সওয়াল, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এক জন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই আমরা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাইছি।’’
বিচারপতি খন্না বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে তো কী হয়েছে? আদালতের কাছে সবাই সমান। আজ আপনাকে কোনও সুবিধা দিলে আগামীকাল সবাইকে দিতে হবে। এটা তো হয় না। কেন আপনারা হাই কোর্টে আবেদন না করে সুপ্রিম কোর্টে আসবেন? নতুন করে আবার হাই কোর্টে আবেদন করুন।’’ উচ্চ আদালতের সাংবিধানিক ক্ষমতায় সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, জমি জালিয়াতি মামলায় এর আগে ইডির তলবের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত। সে বারও মামলা ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। হাই কোর্ট হেমন্তের আবেদন খারিজ করে দেয়। তাঁকে ইডির তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালত। জমি জালিয়াতি মামলায় ৬০০ কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে হেমন্তের বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে হেমন্তের রাঁচীর বাসভবনে প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশি চালায় ইডি। রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগে রাজভবনে গিয়ে হেমন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। জেএমএম জানায়, তারা বিধানসভায় দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত করেছে চম্পই সোরেনকে। শুক্রবার রাঁচীর রাজভবন থেকে ঝাড়খণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন চম্পই। রাজ্যপাল ১০ দিনের মধ্যে তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলেছেন।