ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে গোটা রাজধানী এবং তার আশপাশের এলাকা। শুধু দিল্লি নয়, উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যেরও ছবি একই। বুধবার ভোর থেকেই দিল্লির দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। যার জেরে দিল্লি-এনসিআরের বিমান এবং ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
দিল্লি বিমানবন্দর বুধবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘কিছু বিমান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটেছে। যাত্রীদের অনুরোধ করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা জন্য। বিমান চলাচলে পরিবর্তিত সূচি সম্পর্কে যে কোনও তথ্য তারাই জানাবে।’’ বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ৫০ টির বেশি বিমান নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে চলছে। কয়েকটি বিমানের রুট পরিবর্তনও করা হয়েছে। জয়পুর, আমদাবাদের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিমানগুলিকে।
বুধবার সকাল থেকেই সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সব ভিডিয়োতে দিল্লির বিভিন্ন জায়গার ভোরের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে বাসিন্দারা আগুনের সামনে বসে আছেন। গোটা শহর জুড়েই এমন ছবি দেখা যাচ্ছে। শুধু ট্রেন বা বিমান নয়, কুয়াশার কারণে সড়কপথে বাস এবং অন্যান্য যান চলাচলেও প্রভাব পড়ছে। রেল সূত্রে খবর, ২৩ টি ট্রেন দেরিতে চলছে।
গত তিন দিন ধরে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যের আবহাওয়া এমনই রয়েছে। চলছে কুয়াশার দাপট। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, কুয়াশার সঙ্গে উত্তর ভারতে বজায় থাকবে শৈত্যপ্রবাহ। পাশাপাশি, বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। দিল্লি ছাড়াও পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর-পশ্চিম রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশের বিচ্ছিন্ন জায়গায় কুয়াশার প্রভাব থাকবে।
অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পর আর জাঁকিয়ে বসবে না শীত। বরং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী কয়েক দিনে। তবে উত্তর ভারত থেকে এখনই শীত বিদায় নিচ্ছে না, বলেই খবর আবহাওয়া অফিস সূত্রে।