মহাপূণ্যময় পৌষ পূর্ণিমায় ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য্য স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ মহাসংযমের মাধ্যমে বর্তমান বাংলাদেশের বাজিতপুর ধামে সিদ্ধ ত্রিশূল মাটিতে পুঁতে দীর্ঘ একমাস ধরে তপস্যা করে মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। জগতের কল্যাণে বর্তমান সময়কে এ যুগ মহাজাগরণ, মহাসমন্বয়, মহামিলন ও মহামুক্তির যুগ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন৷
সেই থেকেই পূণ্য পৌষ পূর্ণিমা তিথিতে অতি সংযমের সাথে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সমস্ত সন্ন্যাসী, গুরু ভাই বোন, ভক্ত, শিষ্যগণ ত্রিশূল পূজার মাধ্যমে ত্রিশূল উৎসব পালন করেন।
কলকাতার বালিগঞ্জে ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রধান কার্যালয় সহ অন্যান্য শাখা কেন্দ্রে এবং সঙ্ঘের সেবাকেন্দ্র উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালি ব্লকের হাটগাছি অঞ্চলের কানমারী বাজারে বৃহস্পতিবার মহা সাড়ম্বরে পালিত হল ত্রিশূল উৎসব৷ কানমারী বিদ্যাধরী নদীতে ত্রিশূল স্নান করিয়ে ভক্ত ও বিশিষ্ট মানুষরা ত্রিশুল নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে মূল মন্দিরে উপস্থিত হন। সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় ত্রিশুল পূজা ও আরতি।
সঙ্ঘের সন্নাসী ও ভক্তরা মনে করেন, জাগতিক বিশ্বাসই মানুষের অন্তরের আধিভৌতিক, আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক ত্রিতাপ ত্রিশূল পূজায় দূর হয়। সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের দিব্য প্রকাশ, পজেটিভ শক্তির বিকাশ, কু-চক্র ও দৃষ্টির প্রভাব মুক্তির পথ, পরিবারের সুরক্ষা কবজ ও সমস্যার সমাধানের প্রতীক এবং সত্ব, রজ, তমোগুনের বহিঃপ্রকাশ ভগবান শিব সর্বশক্তিমানের হাতে থাকা মহাশক্তি এই ত্রিশূল।
সঙ্ঘ ভক্তকুল মনে করেন এই ত্রিশূল পূজার মাধ্যমে ভগবৎ কৃপালাভের পথ নির্দেশিকা ও সংকল্প পালনের দিশা নিদিষ্ট হয়৷ সেকারণে দেবাদিদেব মহাদেব অবতার রূপে আচার্য্য শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ লীলারত অবস্থায় নিখিল বিশ্বের কল্যাণে ও যুগের প্রয়োজনে প্রবর্তন করেন সনাতন হিন্দুর সদাচারী বিধান হিসাবে এই ত্রিশূল পূজা। সূচনা করেন সঙ্ঘের সৎ সংকল্প ধারন দিবসের৷
এই দিনটি সঙ্ঘের প্রতিটি শাখায় পালিত হয় শুভ ত্রিশূল উৎসব এবং সংকল্প মাসের শুভ সূচনা।