নির্ধারিত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি সরকার। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে বেশ জটিল অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তবে শনিবার মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করার বিষয় নিয়ে বিজেপিকে আমন্ত্রন জানালেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশয়ারি।
মহারাষ্ট্র নির্বাচনে ২৮৮ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ১০৫ টি আসন এবং শিবসেনা পেয়েছিল ৫৬ টি। এছাড়াও শরদ পাওয়ারের ন্যাশানালিস্ট কংগ্রেস দল পেয়েছিল ৫৪ টি এবং কংগ্রেসের দখলে ছিল ৪৪ টি। আর তারপর থেকেই সরকার গঠন নিয়ে দুই দল ক্রমেই নিজেদের সরকার গঠন নিয়ে পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছিল। মূলত মুখ্যমন্ত্রী পদকে ভাগ করা নিয়ে শিবসেনা এবং বিজেপির মধ্যে দেখা দিয়েছিল তীব্র বিরোধ। শিবসেনার দাবি মানতে বিজেপি কোনভাবেই রাজি হয়নি। আর অন্যদিকে তাঁদের দাবি না মানলে প্রয়োজন পড়লে বিকল্প পন্থাও নিতে পারেন বলে শিবসেনা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল। তবে তারপর থেকেই দুই দলের অভ্যন্তরীণ ঝামেলার ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি মারাঠাভূমিতে।
যদিও নির্বাচনের পরে এককভাবে এই রাজ্যতে সরকার গঠন করা বিজেপির পক্ষে দুষ্কর ছিল। কেননা এককভাবে সরকার গড়তে গেলে যে পরিমাণ আসন তাঁদের দখলে থাকার প্রয়োজন ছিল তা বিজেপির নেই। ফলত বিজেপিকে সরকার গড়তে গেলে অন্যদলের সঙ্গে জোট করেই করতে হত।
জানা গিয়েছে যদি বিজেপি রাজ্যপালের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তাহলে তিনি দ্বিতীয় বৃহত্তম দল অর্থাৎ শিবসেনাকে আমন্ত্রন জানাবেন। তবে তাঁদের পক্ষেও এককভাবে সরকার গঠন করা সম্ভব হবে না। কেননা নির্বাচনের পরে দেখা গিয়েছিল অর্ধেক আসনও তাঁরা করায়ত্ত করতে পারেননি। ৫৬ টি আসনের সঙ্গে কেবলমাত্র কিছু নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন রয়েছে শিবসেনার সঙ্গে। যার ভিত্তিতে এককভাবে সরকার গঠন তাঁদের পক্ষেও সম্ভব হবে না।
এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন রয়েছে। আর সরকার গঠন করা নিয়ে তিনিও যে যথেষ্ট চিন্তিত তা বোঝা গিয়েছে। নির্বাচনী ফলপ্রকাশের পরে বিজেপি এবং শিবসেনা জোট একসঙ্গে ১৬১ আসন পেয়ে জয়ী হয়েছিল। তারপরে দুই দলের লড়াইতে সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি মহারাষ্ট্রে। এখন দেখার কত তাড়াতাড়ি সরকার গঠন করে মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার আসতে পারে।