সকাল সকাল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী পরিবারের সঙ্গে রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনে শ্রীরামচন্দ্র কে স্মরণ করার পাশাপাশি শিবের কাছে প্রার্থনা করলেন। সারাদেশে সুখ শান্তি মঙ্গল কামনায়। হানাহানি হিংসা-বিদ্বেষ বন্ধ হোক, দেশ আরও এগিয়ে যাক, প্রভু শ্রী রামচন্দ্রের আশীর্বাদ ভূষিত হোক, এমন কামনা করলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের সংহতি মিছিল নিয়ে বললেন উচ্চ আদালতের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে করুক, সকলের অধিকার আছে। সকলকে স্বাগত জানাচ্ছি বললেন দিব্যেন্দু। অধিকারীরদের বাড়ির সামনে শ্রীরাম চন্দ্রের পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
অযোধ্যার রাম মন্দিরের রামলালা স্থাপনাকে কেন্দ্র করেই জেলাতে সবথেকে বড় প্রদীপ জ্বালানো হলো খড়গপুরের বালাজি মন্দিরে। অযোধ্যার রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা দিবসে সকাল থেকে খড়গপুর শহরের সেজে উঠেছে। রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা দিনে দিলীপ ঘোষের খাস তালুক খড়গপুরে গোটা খড়গপুর শহরবাসী ভোর থেকেই পুজোতে মেতে উঠেছে। খড়্গপুরের বালাজি মন্দিরে প্রায় তিন ফুটের একটি প্রদীপ বানানো হয়েছে আর সেই প্রদীপ জ্বালিয়ে দিনের সূচনা করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
সকাল থেকে ভক্তরা ওই মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানোর কাজ শুরু করেছে। তিন ফুট উচ্চতার এই প্রদীপের, মন্দির কর্তৃপক্ষের থেকে নাম দেওয়া হয়েছে নক্ষত্র দিয়া। মূলত অযোধ্যার রাম মন্দির স্থাপনাকে কেন্দ্র করে এই দিয়া বানানো হয়েছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। সাংসদ দিলীপ ঘোষ জানান, গোটা জেলা চুরি রাম মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে উঠেছে খড়গপুর শহরও বাদ নেই তার থেকে।
পাশাপাশি সম্প্রীতি মিছিল নিয়ে তার মন্তব্য যে বা যারা এ ধরনের কাজ করছেন তাই প্রত্যেকের কাছে আবেদন যেন আজকের দিনটা রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন হিসেবে পালন করেন তারা। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও আজকের এই দিনটা পালন করতে চাইছেন বাবরি মসজিদের পক্ষেও যারা লড়েছিলেন তাদের কেউ আজকে অযোধ্যাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন দিলীপ ঘোষ।
অন্যদিকে, অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিতে আজ কোচবিহারের গজেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর বাড়ির শিব মন্দিরে পুজো মসজিদ ও গির্জায় প্রার্থনা করলেন তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র তথা কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। তিনি বলেন আমরা সর্ব ধর্ম সমন্বয়ে বিশ্বাসী তাই মনে করি সব ধর্মকে সমান সম্মান জানানো উচিত।
এদিকে চলছে ম্যারাথন দৌড়, ভোর থেকেই রাম বন্দনায় মাতলো জলপাইগুড়ি। উত্তর ভারতের অযোধ্যায় যখন রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে সেই সময় উত্তর পূর্ব ভারতে তিস্তা পাড়ের জলপাইগুড়ি শহরের বুকে চলছে ম্যারাথন দৌড় থেকে শুরু করে, বিভিন্ন মন্দিরে রামের বিশেষ পুজোর আয়োজন। শহরের অলিগলিতে ভেসে যাচ্ছে রাম ভজনের ঝঙ্কার।
অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের আনন্দে শহরের বেশকিছু ক্রীড়া প্রেমী হাতে জাতীয় পতাকা সহ রাম মন্দির শোভিত গেরুয়া ঝান্ডা হাতে সতস্পূর্ত ভাবে মূখে জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিয়ে ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার পথ পরিক্রমা করে চলেছে মাঘের কনকনে শীতের সকালে। এই প্রসঙ্গে ম্যারাথনে অংশ নেওয়া পঙ্কজ ব্যাপারী বলেন আজ অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের আনন্দে এই দৌড়ে অংশ নিয়েছি আমরা সবাই।
রাম মন্দির উদ্বোধনের সন্ধিক্ষণে লোকাল ট্রেনে মেতে উঠলেন রাম ভক্তরা, করলেন লাড্ডু বিতরণ। এদিন সকাল সাতটা শান্তিপুর শিয়ালদা ডাউন লোকাল ট্রেনের কামরা ফুল দিয়ে সাজিয়ে এবং অযোধ্যার রাম মন্দিরের ছবি সামনে রেখে লাড্ডু বিতরণ করতে করতে রওনা দিলেন কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে। আজ ছুটি না থাকায় বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত নিত্যযাত্রীরা এদিন ফুলিয়া হবিবপুর রানাঘাট সহ বিভিন্ন জায়গার নিত্যযাত্রীরা ট্রেনে মধ্যেই রাম মন্দিরের উদ্বোধন উপলক্ষে মেতে উঠলেন তারা।