সোমবার বহু প্রতীক্ষিত রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। আর ওই অনুষ্টানকে ঘিরে খুশির ঢেউ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ফুল চাষী ও ফুল ব্যবসায়ী মহলে। কারণ জেলা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ফুল গেল অযোধ্যায়। নবনির্মিত রাম মন্দির সাজানোর কাজে লেগেছে ফুল। একদিকে বছরে প্রথম বিয়ের মরসুম অন্যদিকে রাম মন্দির উদ্বোধন ও রাজ্যজুড়ে মন্দিরে মন্দিরে পুজো আচার অনুষ্ঠান আর তাতেই বাজারে ফুলের দাম ভাল। হাসি ফুটেছে ফুল চাষী থেকে ফুল ব্যবসায়ীদের মুখে।
আগামিকাল মন্দিরের গর্ভগৃহের রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। তার আগে থেকেই রামমন্দিরে পুজোপাঠ শুরু হয়ে গিয়েছে। গোটা রামমন্দির চত্বর বাহারি ফুল দিয়ে সাজানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, মন্দির সাজানোর কাজে ব্যবহার করা হবে মূলত চন্দ্রমল্লিকা এবং গাঁদা ফুল। এই ফুলের একটি বড় অংশের জোগান দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। দিল্লির ব্যবসায়ীরা এজেন্টের মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুর থেকে সরাসরি ফুল কিনছেন। ফলে রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে বাজারে বেড়েছে ফুলের দাম।
পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া ও কোলাঘাটে প্রায় ২৫-৩০ রকমের ফুলের চাষ হয়। গুণগত মানের কারণে দেশে বিদেশে পাঁশকুড়ার চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা, গোলাপ এবং গাঁদার যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। গাঁদার পাশাপাশি রাম মন্দিরে সাজানোর কাজে পাঁশকুড়ার চন্দ্রমল্লিকা ফুল গিয়েছে বহু পরিমাণ। শুধু কয়েক লক্ষ পাঁশকুড়ার মহৎপুর এবং জানাবাড় থেকে চন্দ্রমল্লিকা ফুল গিয়েছে অযোধ্যার রাম মন্দিরে। এছাড়াও পাঁশকুড়ার ফুল চাষীদের কাছ থেকে কয়েক হাজার গ্ল্যাডিওলাস ফুল কিনে রাম মন্দিরের কাজে পাঠিয়েছেন ফুল ব্যবসায়ীরা।
সারা বাংলা ফুল চাষী ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়েক জানান, রাম মন্দির উদ্বোধন ঘিরে জেলা থেকে বহু ফুল গিয়েছে অযোধ্যায়। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে রাজ্য ও দেশজুড়ে বহু মন্দির সাজিয়ে তোলার কাজ হচ্ছে। তাই বাজারে ফুলের চাহিদা রয়েছে। ফুলের ভালো দাম থাকায় খুশি চাষিরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া ফুল চাষের জন্য বিখ্যাত। এখানকার ফুল দিয়েই অযোধ্যার রাম মন্দির সাজানোর অংশে যেমন ব্যবহার হচ্ছে তেমনি রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন মন্দিরে পুজো পাঠেও ব্যাপক হারে ফুল প্রয়োজন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেক ফুল চাষীরা। অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের খুশির ঢেউ তাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ফুল চাষী মহলে।