রাত পোহালেই অযোধ্যার রামমন্দিরে রামের বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ করবেন তিনি। তার আগে রবিবার দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে ‘প্রাণায়ম’ সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সমুদ্রের পারে প্রথমে সাজিয়ে দিলেন ফুল-বেলপাতার নৈবেদ্য। তার পরে সমুদ্রের জলে নেমে সেই জলেই অর্পণ করলেন পুজো। শেষে সমুদ্রের পারে বসে অনুলোম-বিলোম প্রাণায়মও করতে দেখা গেল তাঁকে।
রামের বিগ্রহে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীই। তাঁর হাতেই হবে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র পুজো। তবে পুজোয় বসার আগে ১১ দিনের বিশেষ ব্রত পালন করছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই পর্বেই দক্ষিণ ভারতের রামায়ণ-প্রসিদ্ধ স্থানগুলিও দর্শনে বেরিয়েছিলেন তিনি।
রবিবার ছিল সেই সফরের শেষ পর্ব। সকালেই মোদী পৌঁছে যান তামিলনাড়ুর ধনুষ্কোড়িতে। সেখানে আরিচল মুন্নাই পয়েন্টে সমুদ্রের পারে বসে প্রাণায়ম করেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে সৈকতে বালির উপরেই সাজিয়ে দেন দশ রঙের ফুল আর বেলপাতার নৈবেদ্যও। সমুদ্রে নেমে পুজোও করেন মোদী।
রামায়ণে কথিত আছে, রাবণের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার আগে এই ধনুষ্কোড়িতেই পুজো করেছিলেন রাম। এখান থেকেই বাঁধা হয়েছিল লঙ্কারাজ্যে যাওয়ার রাম সেতু। আবার এই ধনুষ্কোড়িতেই রাবণের ভাই বিভীষণ দেখা করেছিলেন রামের সঙ্গে। বলা হয়, এখানেই রামের কাছে আশ্রয় চেয়েছিলেন বিভীষণ। এমনকি, রাবণকে হারানোর পর লঙ্কারাজ্যের সিংহাসনের বিভীষণের অভিষেকও নাকি হয়েছিল তামিলনাড়ুর এই জনবিরল শহরেই। ফলে রামগাথায় ধনুষ্কোড়ির আলাদা মাহাত্ম্য আছে। ধনুষ্কোড়িতে রয়েছে রামের মন্দিরও। রবিবার সেখানেও পুজো করেছেন মোদী।
ধার্মিকেরা বলছেন, স্থানমাহাত্ম্যের জন্যই রামের জন্মভূমিতে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে রামের বিজয়ভূমিতে পুজো দিতে এসেছেন মোদী। যদিও রাজনৈতিক নজরদারদের মতে, লোকসভা ভোটের আগে এ সবই আদতে দক্ষিণ ভারতের মন পাওয়ার চেষ্টা।