বুলবুল (Bulbul) ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে কথা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। রবিবার সকালে একথা টুইট করে জানিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। যদিও শনিবার রাতেই দুর্যোগ কেটে গিয়েছে। বুলবুল ঘূর্ণিঝড় সাগরদ্বীপ সহ সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় আছড়ের পড়ার পর গতিমুখ বদলে বাংলাদেশের দিকে সরে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও শনিবার রাতে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি কাকদ্বীপ, নামখানা ও সাগরদ্বীপে হয়েছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল প্রশাসন। সেই প্রসঙ্গেই এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর।
সূত্রের খবর, রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে ফোনালাপে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে ঝড়ের দাপটে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর করা টুইটে, ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিতে সব রকম সহযোগিতা করা হবে রাজ্য সরকারকে এমনই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের সময় ‘ফণী’ নামক ঘূর্ণিঝড় হানা দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলবর্তী এলাকায়। সেই সময় ভোটের আবহে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল।
সেই সময় ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক (Nabin Pattnayak) প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দিলেও, যাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। প্রশ্ন উঠেছিল, রাজনৈতিক বৈরিতা ভুলে সাধারণ মানুষের জন্য কি মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যেতে পারতেন না ? সময় বদলেছে, দ্বিতীয়বার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। গত ১৮ আগস্ট দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছেন তৃণমূল নেত্রী। তারপর এদিন বুলবুল ঝড়ের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে রাজ্যের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে অবগত করালেন তিনি। যা সুস্থ গণতন্ত্রের লক্ষণ বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।