মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক বা সর্বভারতীয় জয়েন্ট, নেট, সেটের মতো পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ছেলেমেয়েদের কোচিং সেন্টারে পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা। কিন্তু অনেক পড়ুয়া কোচিং-এর চাপ নিতে না পেরে জীবন শেষ করে দিচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য রাজস্থানের কোটায় সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি ছাত্রছাত্রীর আত্মহত্যার খবর উঠে এসেছে সংবাদপত্রের শিরোনামে। আবার সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি বিখ্যাত কোচিং সেন্টারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও শোনা গেছে। বেশ কয়েকটি কোচিং সেন্টারে অতিরিক্ত ফি চার্জ করার কথাও শোনা গেছে। এই পরিস্থিতিতে কোচিং সেন্টারগুলির জন্য বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র সরকার।
কোচিং সেন্টারে ভর্তির জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের বয়সও বেধে দিয়েছে কেন্দ্র। স্নাতক না হলে কোনো কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা যাবে না।শিক্ষকদের মান উন্নত হতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের কোচিং সেন্টারে ভর্তি করার জন্য বিভ্রান্তিকর প্রতিশ্রুতি, বা র্যাঙ্ক করানো, বা ভালো নম্বরের নিশ্চয়তা দেওয়া যাবে না। ১৬ বছরের কম বয়সী পড়ুয়াদের কোচিংয়ে ভর্তি করা চলবে না। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পরে পড়ুয়াদের কোচিংয়ে ভর্তি নেওয়া যাবে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কোচিংয়ের মান, প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা বা কোচিং সেন্টারে ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্ত ফলাফল সম্পর্কিত কোনো বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যাবে না। ছাত্র-ছাত্রীদের মন ভালো রাখতে কোচিং সেন্টারগুলিকে কেরিয়ার গাইডেন্স দিতে হবে। কাউন্সেলিং- এর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি কোচিং সেন্টারের ফাস্ট এইড চিকিৎসা পরিষেবা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, স্বচ্ছ পানীয় জল ও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত রাখতে হবে।
স্কুলের সঙ্গে কোচিংয়ের সময় যাতে আলাদা হয় সে ব্যাপারেও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রতিদিন কোচিংয়ের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা, সাপ্তাহিক ছুটি রাখা, পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করতে সহ পাঠক্রমের ব্যবস্থা করার নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, কোচিং সেন্টারে সমস্ত ব্যবস্থার কথা ওয়েবসাইটে উল্লেখ করতে হবে। কোনো কোচিং সেন্টার সরকারি নির্দেশিকা না মানলে সেই কোচিং সেন্টারের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।