Jalpaiguri: কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই বৃষ্টি! ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন…

ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির সাথে বরফগলা হাওয়া। হিমশীতল আবহাওয়ায় আরও জবুথবু জলপাইগুড়ি। হাড় কনকনে ঠান্ডায় জবুথুব জলপাইগুড়িবাসী। বুধবার সকাল থেকেই চারদিক ঘন কুয়াশায় ঢাকা। তার সঙ্গে বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ভেজা। একদিকে কুয়াশার দাপট, অন্যদিকে বৃষ্টি, জেলা জুড়ে জাঁকিয়ে পড়েছে ঠান্ডা। গত কয়েকদিন ধরেই জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। বুধবার জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১২.৩ ডিগ্রি।

আবহাওয়া দফতরের তরফে আগাম জানানো  হয়েছিল ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের সম্ভাবনার কথা। সেই পূর্বাভাস অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল। গতকাল দার্জিলিং ও সিকিম পাহাড়ে নতুনভাবে তুষারপাত হয়েছিল। আজ সকাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় শুরু হয়েছে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি। পথঘাট ভিজে গিয়েছে। আর এর জেরে ব্যাপক ঠান্ডা পড়েছে। আর তার প্রভাব পড়েছে জনজীবনেও। সকাল ৯টাতেও তেমনভাবে মানুষের দেখা নেই রাস্তায়। হাটবাজার সব ফাঁকা। কোথাও কোনও মানুষজনের দেখা নেই বললেই চলে! কেবলমাত্র চায়ের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেল। গরম চায়ে চুমুক দিয়ে সবাই চাইছে ঠান্ডা কাটিয়ে একটু উষ্ণ হতে। 

সঞ্জয় সরকার নামে এক এলাকাবাসী জানান, ঠান্ডার মধ্য়েই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে আরও বেশি ঠান্ডা অনুভব করছি। রাস্তাঘাট একেবারে ফাঁকা। যাদের খুব প্রয়োজন তারাই শুধু বাইরে বের হচ্ছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার জলপাইগুড়ি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। দৃশ্যমানতা ছিল ৫০০ মিটার। বৃষ্টি হয়েছে সামান্য। প্রসঙ্গত, গতকাল এই সিজনের দ্বিতীয় তুষারপাত হয়। এবার ভারত-চিন সীমান্তে উত্তর সিকিমের নাথুলায় তুষারপাত হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে তুষারপাত শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক ধরে চলে তুষারপাত। 

সিকিমের তুষারপাতের পরই বেলা গড়াতেই দার্জিলিংয়ের সান্দাকফু সহ টুমলিং, মেঘমা সহ সিংহালিলা ন্যাশনাল পার্ক- বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী তুষারপাত শুরু হয়। প্রায় সারাদিন ধরেই চলে তুষারপাত। একেবারে সাদা চাদরে ঢেকে গিয়েছে সমগ্র এলাকা। মঙ্গলবার দার্জিলিং পাহাড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১০.৯। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২.২। দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা দিনভর উপভোগ করেন কনকনে ঠান্ডা। তুষারপাত তারিয়ে উপভোগ করেন পাহাড়প্রেমী মানুষরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.